স্বপ্ন শুধু দেখার নয়, বাস্তবে রূপান্তরের নতুন ইতিহাস হলো আজ। যাত্রা শুরু করল দেশের ইতিহাসের প্রথম মেট্রোরেল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গ্রিন সিগন্যালে (সবুজ পতাকা) ৪৯০১ নম্বর ট্রেনটি ছেড়ে গেল উত্তরা উত্তর স্টেশন।
আজ দুপুর ২টার কিছু আগে আসমা আক্তারের পরিচালনায় প্ল্যাটফর্ম ছাড়ে ২ হাজার ৩০৮ জন যাত্রী বহনের সক্ষমতাসম্পন্ন ট্রেনটি। যাতে রয়েছে মোট ৬টি কোচ। যাতে সময় লাগবে ১০ মিনিট ১০ সেকেন্ড।
এর আগে উত্তরা ১৫ সেক্টরের সি/এ এর মাঠে সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কোনো আতশবাজির আয়োজন ছিল না।
বক্তব্য শেষে উত্তরা উত্তর স্টেশন পরিদর্শন করেন শেখ হাসিনা। উদ্বোধন ফলকের পাশে একটি তেঁতুলগাছের চারা রোপণ করেন। এরপর সেখান থেকে প্ল্যাটফর্মে উঠে টিকিট মেশিন ব্যবহার করে টিকিট কেনেন সরকারপ্রধান।
সেখানে তাঁকে মেট্রোরেল ও প্ল্যাটফর্মগুলো সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়। তৃতীয় তলার প্ল্যাটফর্মে প্রধানমন্ত্রী সবুজ পতাকা নেড়ে বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল চলাচলের সূচনা করেন। স্মারক হিসাবে সবুজ পতাকায় স্বাক্ষরও করেন তিনি।
২০১৬ সালের ২৬ জুন নির্মাণকাজের উদ্বোধন হলেও পরের বছর ২ আগস্ট বোনা হয়েছিল উড়াল ট্রেনের স্বপ্ন। তা বাস্তবায়ন হলো ২০২২২-এর ২৮ ডিসেম্বর। যানজটের শহরে এই মেট্রোরেলের আলো ফেলবে নতুন আসা।
উত্তরা থেকে মতিঝিল মেট্রোরেলের লাইন-৬-এর ২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটারের জন্য ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩৩ হাজার কোটি টাকা।
মেট্রোরেল উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মেট্রোরেলের আশপাশে সুউচ্চ ভবনগুলোতে আজ সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ছাদে ওঠা যাবে না। বেলকনিতে থাকা যাবে না। ছাদে অবস্থান নিষেধ এবং কাপড় শুকাতে দেওয়া যাবে না। আশপাশের এলাকায় কোনো অফিস, দোকান বা রেস্টুরেন্ট খোলা রাখা যাবে না।
এলাকাগুলোর ভবন, বিল্ডিং ফ্ল্যাট, এমনকি মেট্রোরেলের দুপাশের সব ব্যাংকের এটিএম বুথ সকাল থেকে অনুষ্ঠান শেষ না হওয়া এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগারগাঁও স্টেশন ত্যাগ করার আগ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
মেট্রোরেল নিয়ে আরও খবর পড়ুন: