বাংলাদেশের সোনালি ঐতিহ্য মসলিনকে বড় পরিসর ও বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদনের জন্য রূপগঞ্জের তারাবতে ‘ঢাকাই মসলিন হাউজ’ প্রতিষ্ঠা করবে সরকার। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সভায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী এই তথ্য জানান।
মসলিনের সুতা তৈরির প্রযুক্তি ও মসলিন কাপড় পুনরুদ্ধার প্রকল্প এবারের জনপ্রশাসন পদক পাওয়ায় পর ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ নিয়ে সভায় মন্ত্রী আরও বলেন, ঢাকার অদূরে রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবতে জুটো ফাইবার গ্লাস ইন্ডাস্ট্রিজের জমিতে ‘ঢাকাই মসলিন হাউজ’ তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বাণিজ্যিক উৎপাদনের ফলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিপুলসংখ্যক লোকের বিশেষ করে নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব হবে। আশা করা যায়, শিগগিরই বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের তালিকায় মসলিন কাপড় যুক্ত হবে।
ঢাকাই মসলিন রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সঙ্গে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিও উজ্জ্বল হবে বলে আশা করেন বস্ত্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, শিগগিরই বাংলাদেশের অন্যতম ব্র্যান্ডিং হবে ‘ঢাকাই মসলিন’। সোনালি ঐতিহ্যের ঢাকাই মসলিন, আবারও বিশ্ব মাতাবে।
একটি প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড ১৭০ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া বিশ্ববিখ্যাত ব্রান্ড ঢাকাই মসলিন পুনরুদ্ধার করছে। গবেষণার করে মসলিনের কাঁচামাল ফুটি কার্পাস খুঁজে বের করে এর চাষাবাদ, সুতা উৎপাদন, কারিগরদের দক্ষতা উন্নয়ন করে উন্নতমানের মসলিন উৎপাদন করা হচ্ছে।
বস্ত্র ও পাট সচিব মো. আবদুল মান্নান, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. শাহ আলমসহ মন্ত্রণালয়ের অন্য কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।