দীর্ঘ বিধিনিষেধে করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমলেও তা সন্তোষজনক নয় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
জাহিদ মালেক বলেন, কিছুদিন আগে সংক্রমণ ৫ শতাংশের নিচে ছিল। জুলাইয়ে ৩২ শতাংশে পৌঁছেছিল এখন ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। তারপরও জীবন-জীবিকার কথা চিন্তা করে আমাদের এগোতে হচ্ছে।
রোববার মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকীর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনায় আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছি তারপরও সমালোচনার ঝড় এখনো থামেনি। তাঁরাই সমালোচনা করে যারা দেশকে শান্তিতে দেখতে চায় না। করোনার ব্যবস্থাপনায় আমরা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক ভালো করেছি কিন্তু তাঁরা সমালোচনা ছাড়েননি। বিরোধিরা কোনো দিনও প্রশংসা করবে না।
জাহিদ মালেক বলেন, করোনা যুদ্ধে সরকার কাজ করে যাচ্ছে আর শেখ হাসিনাকে দুর্বল করে দিতে অনেকে সমালোচনা করছেন। কোভিড বাড়লেও সমালোচনা, কমলেও সমালোচনা। কেউ পজিটিভ কথা বলে না।
জাহিদ মালেক বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবনী পড়লে বাংলাদেশের ইতিহাস পড়া হয়ে যাবে। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর তিন বছর সময় পেয়েছিলেন সোনার বাংলা বাস্তবায়ন করার। সকল ক্ষেত্রে যখন উন্নয়ন ধারা অব্যাহত তখনই বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে তাঁরা পরবর্তীতে ষড়যন্ত্র করে শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করে গ্রেনেড হামলা করেছিল। এখনও তাঁরা এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছেন। প্রতিনিয়ত তাঁদের এই ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন। আমি এই অনুষ্ঠানের দাবি করব যারা হত্যার সঙ্গে জড়িত এবং বিদেশে অবস্থান করছে তাঁদেরও দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করতে হবে তবেই দেশ কলঙ্কমুক্ত হবে।
আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাসচিব আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি ইকবাল আর্সলান, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজসহ অনেকে।