হোম > জাতীয়

আগামী নির্বাচনে নৌকার জন্য ভোট চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

তানিম আহমেদ, যশোর থেকে

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কার জন্য যশোরবাসীর কাছে ভোট চাইলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যশোর শামস-উল হুদা স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে ভোট চান শেখ হাসিনা।

যশোরবাসীর উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনারা জনগণের কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন। আগামী নির্বাচনে আমি আপনাদের কাছে ওয়াদা চাই, আগামী নির্বাচনেও আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে সেবা করার সুযোগ দেবেন কিনা? আপনারা হাত তুলে ওয়াদা করেন। এ সময় উপস্থিত নেতা–কর্মীরা উচ্চ স্বরে সমর্থন জানিয়ে স্লোগান দেন। 

যশোরবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই যশোরের স্টেডিয়ামে মিটিং করে গেলাম। এই স্টেডিয়াম জরাজীর্ণ-ঝুঁকিপূর্ণ। এই স্টেডিয়ামকে আমরা উন্নত করে দেব। এই গ্যালারি ভেঙে নতুন আধুনিক ১১ স্তরবিশিষ্ট গ্যালারি তৈরি করে দেব।’ 

এ ক্ষেত্রে ছাত্র-যুব সমাজের প্রতি একটি কথা আছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খেলাধুলা, সংস্কৃতি চর্চা এবং লেখাপড়া করতে হবে। করবে তো সবাই? মাদক থেকে দূরে থাকতে হবে। মাদক নেওয়া চলবে না, যেটা একজন মানুষের জীবন শেষ করে দেয়। জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস থেকে দূরে থাকতে হবে, কেউ তাতে লিপ্ত হতে পারবে না। আমরা শান্তি চাই, উন্নতি চাই। আমাদের যুব সমাজ ভবিষ্যৎ, তারাই এদেশের ছেলে-মেয়ে। সবাই মিলে এই দেশকে গড়ে তুলতে হবে। এই দেশের উন্নতি করতে হবে, সেই কথা মনে রাখতে হব।’ 

জেলা স্টেডিয়াম আধুনিক করার জন্য ইতিমধ্যে ৩২ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটা উন্নত হয়ে যাবে। প্রত্যেকটি জায়গায় আমি চাই, আমাদের দেশের মানুষের উন্নতি হোক।’ 

উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘গুজবে কখনো কান দেবেন না। বিএনপির কাজই হচ্ছে সব সময় গুজব ছড়ানো। ওরা নিজেরাতো কিছু করতে পারে না। ক্ষমতায় যখনই এসেছে, লুটপাট করে খেয়েছে।’ 

রিজার্ভের টাকা সরকার জনগণের কল্যাণে ব্যয় করেছে জানান প্রধানমন্ত্রী। করোনা টিকা, চাল, সার, গম, ভুট্টাসহ প্রয়োজনীয় পণ্য কেনা হয়েছে বলে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, আমরা জনগণের জন্য দুই হাতে খরচ করেছি। এটা অন্য কোথাও যায়নি, জনগণের কল্যাণে ব্যয় হয়েছে। এখন রাস্তাঘাট, পুল, ব্রিজ থেকে শুরু করে অনেক কাজ করে দিচ্ছি।

মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৮২৪ ডলার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার সময় ছিল ৩৫৩ মার্কিন ডলার। কোথায় ৩০০! আর কোথায় ২ হাজার ৮২৪। এরা কার কাছে প্রশ্ন করে। খুন করা, হত্যা করা অত্যাচার করা, নির্যাতন করা, জেল, জুলুম-মামলা ছাড়া তারা কিছুই দিতে পারে নাই।’

যশোরের সঙ্গে নাড়ির টান আছে বলে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যশোরে আমার একটা নাড়ির টান আছে। আমার নানা শেখ জহুরুল হক এই যশোরে চাকরি করতেন। আমার মায়ের বয়স যখন তিন বছর ছিল তখন তিনি মারা যান। ওই সময় যোগাযোগ ব্যবস্থা এতই খারাপ ছিল, যে কারণে লাশ টুঙ্গিপাড়ায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। এই যশোরেই তাকে মাটি দেওয়া হয়েছিল। 

শেখ হাসিনা বলেন, এখানে আমার নানার স্মরণে ট্রেনিং সেন্টারটা (শেখ জহুরুল হক আরডিএ ট্রেনিং সেন্টার)করে দেব। যেখানে আমাদের দারিদ্র বিমোচনের জন্য প্রশিক্ষণ হবে। কাজ পাবেন।

দুদকের তদন্ত: ৭ দেশে জাবেদের আরও ৬১৫ সম্পদের সন্ধান

রক্তসাগর পাড়ি দিয়ে পুব আকাশে স্বাধীনতার সূর্য

ত্যাগ, বীরত্ব আর গৌরবের জ্বলন্ত সাক্ষী মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর

নতুন প্রত্যাশা জাতির মনে

প্রস্তাবিত পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ হবে অর্থহীন ও আত্মঘাতী: টিআইবি

ডেভিল হান্ট ২: দুই দিনে গ্রেপ্তার সহস্রাধিক, অস্ত্র উদ্ধার ৬

জাতীয়-ধর্মীয়-সামাজিক অনুষ্ঠানে নির্বাচনী বিধি মানার নির্দেশ ইসির

‘হাদির ওপর হামলা বিচ্ছিন্ন ঘটনা’—সিইসির বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিল ইসি

লালমনিরহাট বিমানবন্দর পুনরায় চালুর নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না—জানতে চেয়ে রুল

বিজয় দিবসে বঙ্গভবনের আশপাশের সড়ক এড়িয়ে চলার অনুরোধ ডিএমপির