হোম > জাতীয়

ইসির ক্ষমতা হ্রাসে সুষ্ঠু নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে: সুজন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ক্ষমতা হ্রাস সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতন্ত্রকে ঝুঁকির মুখে ফেলবে বলে মন্তব্য করেছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। 

আজ বুধবার সুজন সভাপতি এম. হাফিজউদ্দিন খান ও সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘৪ জুলাই জাতীয় সংসদে আরপিওর যে সংশোধনী পাস করা হয়েছে, তাতে ইসির ক্ষমতা হ্রাস করা হয়েছে। আমরা এই ধরনের উদ্যোগের তীব্র প্রতিবাদ করছি এবং নির্বাচনে অনিয়ম ও বল প্রয়োগের মতো ঘটনায় নির্বাচনের দিন কোনো কেন্দ্র বা আসনের ভোট বন্ধ করাসহ তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনের যেকোনো পর্যায়ে যেকোনো নির্বাচনী এলাকার নির্বাচন স্থগিত ও ফলাফল বাতিলের ক্ষমতা ইসিকে ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

উল্লেখ্য, এই সংশোধনীর পর নির্বাচন কমিশন শুধু ভোটের দিন কোনো অনিয়মের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করতে পারবে; ভোটের দিন ব্যতীত অন্য কোনো সময় নির্বাচন স্থগিত বা ফলাফল স্থগিত বা বাতিল করতে পারবে না।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা মনে করি, এমনিতেই ইসি সকল রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন সংগঠনের কাছে আস্থা অর্জন করতে পারেনি। আরপিওর এই সংশোধনী নির্বাচন কমিশনকে আরও আস্থার সংকটে ফেলবে এবং সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে একটি ক্ষমতাহীন প্রতিষ্ঠানে পরিণত করবে। তাছাড়া সকল দলের অংশগ্রহণে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক হবে কি না, তা নিয়ে আমরা যখন সংকটে নিমজ্জিত, তখন এই ধরনের একটি উদ্যোগ এই সংকটকে আরও ঘনীভূত করবে যা কোনো সচেতন নাগরিকের কাম্য নয়।’

সুজনের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘আমরা জানতে পেরেছি যে, নির্বাচন কমিশন থেকেই ফলাফল স্থগিত বা বাতিল করার বিষয়টি স্পষ্ট করার জন্য একটি উপধারা যুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। অথচ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-এর ৯১ (ক) ধারায় বলা ছিল, কমিশন যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, নির্বাচনে বলপ্রয়োগ, ভীতি-প্রদর্শন এবং চাপ সৃষ্টিসহ বিভিন্ন বিরাজমান অপকর্মের কারণে যুক্তিযুক্ত, ন্যায়সংগত এবং আইনানুগভাবে নির্বাচন পরিচালনা নিশ্চিত করিতে সক্ষম হইবেন না, তাহা হইলে ইহা যে কোনো ভোট কেন্দ্র বা ক্ষেত্রমত, সম্পূর্ণ নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচনের যে কোনো পর্যায়ে ভোট গ্রহণসহ নির্বাচনী কার্যক্রম বন্ধ করিতে পারিবে।

‘উপধারায় বলা হয়েছে, কোনো ভোটকেন্দ্র বা সম্পূর্ণ নির্বাচনী এলাকার ফলাফল প্রকাশ স্থগিত করিতে পারিবে, যদি কমিশন নিশ্চিত হয় যে, সেই ভোটকেন্দ্র বা পুরো নির্বাচনী এলাকার ফলাফল বলপ্রয়োগ, হুমকি, কারসাজি বা অন্য কোনো অসদাচরণ দ্বারা প্রশ্নবিদ্ধ হইয়াছে এবং প্রয়োজনীয় সময়ের মধ্যে দ্রুত তদন্ত শেষে সরকারি গেজেটে পুরো নির্বাচনী এলাকার ফলাফল প্রকাশের নির্দেশনা দেবে অথবা নির্দিষ্ট ভোটকেন্দ্রের বা পুরো নির্বাচনী এলাকার নির্বাচন বাতিলপূর্বক নতুন করিয়া নির্বাচন করিতে পারিবে। এ ছাড়া উচ্চ আদালতের রায়েও গেজেট প্রকাশের আগ পর্যন্ত নির্বাচনী ফলাফল বাতিলের ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হয়েছে। আমাদের কাছে বোধগম্য নয় যে, উল্লিখিত ধারা দুটিসহ উচ্চ আদালতের রায় থাকার পরেও ইসির পক্ষ থেকে কেন এই সংশোধনী প্রস্তাব দেওয়া হলো। এটা কি কোনো পাতানো খেলা?’

মনোনয়নপত্র দাখিলের ন্যূনতম সাত দিন আগে ক্ষুদ্রঋণ এবং টেলিফোন, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির বিল পরিশোধের বিধান থাকলেও এখন মনোনয়নপত্র দাখিলের আগের দিন পর্যন্ত তা পরিশোধের বিধান করা হয়েছে। বিষয়টি মোটেও ইতিবাচক নয়; কেননা এতে ঋণখেলাপিরা নির্বাচনে অংশগ্রহণে উৎসাহিত হবেন জানায় সুজন।

সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা ইসির সাংবিধানিক দায়িত্ব। আর এ দায়িত্ব পালন করতে হলে, ইসিকে স্বাধীনভাবে আইনি দায়িত্ব পালন করতে হবে বলে বিবৃতিতে জানায় সুজন।

দুদকের তদন্ত: ৭ দেশে জাবেদের আরও ৬১৫ সম্পদের সন্ধান

রক্তসাগর পাড়ি দিয়ে পুব আকাশে স্বাধীনতার সূর্য

ত্যাগ, বীরত্ব আর গৌরবের জ্বলন্ত সাক্ষী মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর

নতুন প্রত্যাশা জাতির মনে

প্রস্তাবিত পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ হবে অর্থহীন ও আত্মঘাতী: টিআইবি

ডেভিল হান্ট ২: দুই দিনে গ্রেপ্তার সহস্রাধিক, অস্ত্র উদ্ধার ৬

জাতীয়-ধর্মীয়-সামাজিক অনুষ্ঠানে নির্বাচনী বিধি মানার নির্দেশ ইসির

‘হাদির ওপর হামলা বিচ্ছিন্ন ঘটনা’—সিইসির বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিল ইসি

লালমনিরহাট বিমানবন্দর পুনরায় চালুর নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না—জানতে চেয়ে রুল

বিজয় দিবসে বঙ্গভবনের আশপাশের সড়ক এড়িয়ে চলার অনুরোধ ডিএমপির