দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এই লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক মানুষের জন্য অর্থাৎ ৪০ শতাংশের জন্য টিকা সরবরাহ করতে সম্মত হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্সের মাধ্যমে আসবে এসব টিকা। এর মাধ্যমে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ২০ শতাংশ মানুষের টিকা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক ড. তেদ্রোস আধানম গেব্রেয়েসুসের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে টিকার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। এ ছাড়া চলমান করোনা মোকাবিলায় বিভিন্ন বিষয়ে নিয়েও কথা বলেন তাঁরা।
আজ শনিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ জনসংযোগ কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম প্রধান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে বাংলাদেশের ২০ শতাংশ মানুষের জন্য টিকা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক। দেশের মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশের জন্য টিকা পাঠানোর অনুরোধ করা হলে তাঁরা সম্মত হয়েছেন। পাশাপাশি অন্যান্য মাধ্যমেও টিকা কেনার তৎপরতা চলমান থাকবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে টিকা উৎপাদনে ডব্লিউএইচও কারিগরি সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ভ্যাকসিন টেস্টিং ক্যাপাসিটি অব দ্য ন্যাশনাল কন্ট্রোল ল্যাবরেটরির অ্যাক্রেডিটেশন প্রদানের কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেবেন বলেও আশ্বস্ত করেছেন ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক।