নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, দেশের সমুদ্র ও নাব্য জলপথের উন্নয়নে আধুনিক হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ ও নটিক্যাল চার্ট প্রণয়ন নিশ্চিত করা হবে।
আজ শনিবার (২১ জুন) রাজধানীর বিজয় সরণির মিলিটারি মিউজিয়ামে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বিআইডব্লিউটিএর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘বিশ্ব হাইড্রোগ্রাফিক দিবস ২০২৫’ উপলক্ষে এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. সাখাওয়াত বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে চারটি সমুদ্রবন্দর রয়েছে। এর মধ্যে মাতারবাড়ী একটি গভীর সমুদ্রবন্দর। এ বন্দরকে ঘিরে আন্তর্জাতিক মানের ডকইয়ার্ড নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি ফিশারি পোর্ট নির্মাণের প্রস্তাব পেলে সরকার তা বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেবে।
তিনি আরও বলেন, দেশের সমুদ্র এলাকায় হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ এবং সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদানের মাধ্যমে নিরাপদ নেভিগেশন ও সামুদ্রিক অর্থনীতির বিকাশে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ভবিষ্যতে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
সেমিনারে আলোচকেরা বলেন, পায়রা ও মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দর, এলএনজি টার্মিনাল ও কর্ণফুলী টানেলের মতো গুরুত্বপূর্ণ মেগা প্রকল্পে হাইড্রোগ্রাফিক তথ্য অপরিহার্য। সমুদ্রতল ম্যাপিং ত্বরান্বিত করতে আধুনিক প্রযুক্তি ও স্বায়ত্তশাসিত ডুবো যান ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তাঁরা।
অনুষ্ঠানে নৌবাহিনীর প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান, জাতীয় হাইড্রোগ্রাফিক কমিটির চেয়ারম্যান, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ হলো পানি ও পানিপথ সম্পর্কিত এলাকার গভীরতা, তলদেশের প্রকৃতি, স্রোতের ধারা, জোয়ার-ভাটার অবস্থা, তীরবর্তী এলাকা, নৌ চলাচল পথ এবং পানির গুণাগুণ নির্ণয়ের জন্য করা একটি বিশেষ ধরনের জরিপ।