আইন ভঙ্গ করে ৯ আসামিকে জামিন দেওয়ার ঘটনায় হাইকোর্টে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল। তলবের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের বেঞ্চে হাজির হয়ে ক্ষমা চান তিনি। পরে এ বিষয়ে আদেশের জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করা হয়।
জেলা জজের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা ও আবদুন নূর দুলাল।
এর আগে জামিন দেওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে গত ২১ জুন কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজকে তলব করেন হাইকোর্ট।
আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা বলেন, ‘আমরা নিঃশর্ত ক্ষমার আবেদন নিয়ে এসেছিলাম। সে আবেদন রাখা হয়েছে। কালকে আরেকটা আবেদন দেব তার কন্ডাক্টের ওপর। আমরা শুধু নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছি আর কিছু না।’
এ দিকে আদালত থেকে বের হওয়ার সময় ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিকদের ওপর নাখোশ হন জেলা জজ। এ সময় তিনি বলেন, ‘মজা নিয়েন না।’
জানা যায়, জমির দখল নিয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ভয়ভীতি প্রদর্শন ও আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটানোর অভিযোগে করা একটি মামলায় ৯ জন আসামি হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন। তবে হাইকোর্ট তাদেরকে জামিন না দিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। নির্দেশ অনুযায়ী গত ২১ মে আসামিরা কক্সবাজার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে সার্টিফায়েড কপি ছাড়া একই দিন জেলা ও দায়রা জজের কাছে আসামিদের পক্ষ থেকে আবেদন করলে তাদেরকে জামিন দেওয়া হয়।
পরবর্তীতে আসামিদের জামিন চ্যালেঞ্জ করে মামলার বাদী রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোদেস্তা বেগম (রিনা) হাইকোর্টে আবেদন করেন। আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এবিএম আলতাফ হোসেন।