দেশে অনেক ধর্ষণকারী শনাক্ত করা হয় ডিএনএ (ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড) পরীক্ষার মাধ্যমে। কিন্তু দেশে মাত্র দুটি পরীক্ষাগারে তা পরীক্ষা করা সম্ভব নয়। ধর্ষণের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের সুবিধার্থে প্রতিটি বিভাগে অন্তত একটি ডিএনএ ল্যাব স্থাপনের বিষয়ে সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
রোববার জাতীয় সংসদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১৬ তম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। বাংলাদেশে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ডিএনএ ল্যাব ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অবস্থিত ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরি রয়েছে।
সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ডোপ টেস্ট ও মাদক বিরোধী কার্যক্রম সংক্রান্ত নিজ নিজ দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করায় কমিটিকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
কমিটি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বরাদ্দের ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যদের অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়ে আরও তৎপর হওয়ার জন্য সুপারিশ করে। কমিটি বগুড়া জেলার ভবানীপুর বাজারে দ্রুত একটি পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের জন্য সুপারিশ করে। বৈঠকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সার্বিক কার্যক্রমের ওপর একটি সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। বিজিবির বিওপির সংখ্যা দ্রুত সময়ের মধ্যে বৃদ্ধি ও স্থাপনের জন্য সুপারিশ করা হয়।
সংসদীয় কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন, হাবিবর রহমান, সামছুল আলম দুদু, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, পীর ফজলুর রহমান, নূর মোহাম্মদ, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ এবং বেগম রুমানা আলী।