সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করে সরকার সারের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘আমি চাইনি কোনোভাবেই সারের দাম বাড়ুক। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে শক্ত অবস্থানে ছিল যে দাম বাড়াতেই হবে। প্রধানমন্ত্রীও বলেছিলেন সারের দাম না বাড়াতে, কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে শেষ পর্যন্ত বাড়াতেই হলো।’
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘দাম বাড়ানোর কারণে কৃষকের ওপর চাপ পড়বে। তবে উৎপাদন কমবে না। আমরা চাইব বীজ বা অন্যভাবে কৃষকের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে।’
বৈশ্বিক সারের যে দাম বেড়েছে সে তুলনায় দেশে বাড়েনি জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এখনো সরকারকে সারে বিপুল পরিমাণ টাকা ভর্তুকি দিতে হবে। বৈশ্বিক দাম কমে এলে সারের দাম সমন্বয় করা হবে। বোরো ধানের আগপর্যন্ত সারের চাহিদা বেশি থাকে। এরপর সারের চাহিদাও কমে আসবে। তাই এই দামে খুব সমস্যা হবে না।
এর আগে গতকাল সোমবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হোসেন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক আদেশে ইউরিয়া, ডিএপি, টিএসপি ও এমওপি সারের দাম কেজিতে ৫ টাকা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। ওই আদেশে বলা হয়, চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক বাজারে সারের মূল্য বাড়ার কারণে আমদানি যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা এবং এর সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সারের মূল্য পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত মূল্যতালিকা অনুসারে ডিলার পর্যায়ে প্রতি কেজি ইউরিয়া ২৫ টাকা, ডিএপি ১৯, টিএসপি ২৫, এমওপি ১৮ টাকা বিক্রি হবে। অন্যদিকে কৃষক পর্যায়ে বিক্রি হবে ইউরিয়া ২৭ টাকা, ডিএপি ২১, টিএসপি ২৭, এমওপি ২০ টাকায়।