রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ‘মানুষের চাহিদার তুলনায় আমাদের ট্রেনের সংখ্যা কম। ফলে রেলের সক্ষমতা অনুযায়ী আমরা টিকিট বিক্রি করছি, সুতরাং সবাই টিকিট পাবে না। পাঁচ লাখ মানুষ যদি ট্রেনে যেতে চায়, সেখানে আমরা টিকিট দিতে পারি মাত্র ২০ হাজার।’
আজ সোমবার দুপুরে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির কার্যক্রম পরিদর্শন গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এসব কথা বলেন রেলমন্ত্রী।
টিকিট কালোবাজারির কোনো সুযোগ নেই জানিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘এবার টিকিট কালোবাজারি কোন সুযোগ নেই। কারণ ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে টিকিট কাটতে হচ্ছে। একজনের কাটা টিকিট দিয়ে অন্য কেউ যেতে পারবে না। একজনের টিকিটে যেহেতু অন্যজন যেতে পারবে না, তাই টিকিট কালোবাজারি কোন সুযোগও নেই।’
সহজের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সহজ তাঁদের সমস্ত টিকিট বিক্রি করেছে এনআইডির মাধ্যমে। মোট টিকিটের অর্ধেক কাউন্টারে এবং অর্ধেক অনলাইনে বিক্রি করা হয়েছে। সহজ তাঁদের সক্ষমতা অনুযায়ী টিকিট দিচ্ছে। সহজ আসার পরে আগের চেয়ে অনেক পরিবর্তন হয়েছে।’
এদিকে অগ্রিম টিকিট কাটতে আগেই মানুষ কাউন্টারে ভিড় করছে কেন জানতে চাইলে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘কালকের টিকিটের জন্য যদি আজ কেউ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে তাহলে আমাদের কী করার আছে। তবে টিকিট যাতে সবাই শৃঙ্খলাভাবে নিতে পারে তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে পরিস্থিতি ঠিক রাখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া আছে।’