হোম > জাতীয়

৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্রসহ যেসব সুবিধা পাচ্ছেন জুলাই অভ্যুত্থানে হতাহতরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

তেজগাঁয়ের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উপর জনতার উল্লাস। ছবি: আজকের পত্রিকা

জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ৮৩৪ জনের পরিবার ৩০ লাখ টাকা করে সঞ্চয়পত্র পাচ্ছে। এই টাকার মধ্যে চলতি ২০২৫–২৬ অর্থবছরে ১০ লাখ টাকা এবং ২০২৬–২৭ অর্থবছরে ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র পাবে। এ ছাড়া প্রত্যেক পরিবার মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পাবে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

শফিকুল আলম আরও বলেন, আহতদের মেডিকেল বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী তিন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। গুরুতর আহত ৪৯৩ জনকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যাঁদের অন্যের সহায়তা ছাড়া জীবন পরিচালনা করা সম্ভব নয়। তাঁদের প্রতেক্যের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে। চলতি অর্থবছরে ২ লাখ টাকা এবং আগামী অর্থবছরে ৩ লাখ টাকা দেওয়া হবে। এসব পরিবার প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পাবে।

এ ছাড়া সরকারি হাসপাতালে আজীবন বিনা মূল্যে চিকিৎসা পাবেন এসব পরিবারের সদস্যরা। মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশি–বিদেশি হাসপাতালে চিকিৎসার সুযোগ পাবেন। পরিচয়পত্র পাবেন। এটি দেখিয়ে সব ধরনের সরকারি সুবিধা পাবেন।

‘বি’ ক্যাটাগরিতে গুরুতর আহত ৯০৮ জন রয়েছেন। তাঁরা এককালীন ৩ লাখ টাকা পাবেন। এই টাকার মধ্যে চলতি বছর ১ লাখ টাকা এবং আগামী বছর ২ লাখ টাকা পাবেন। তাঁরা প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন। কর্মসহায়ক প্রশিক্ষণে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কর্মসংস্থান পাবেন। পরিচয়পত্র দেখিয়ে সরকারনির্ধারিত বিভিন্ন সুবিধা পাবেন।

‘সি’ ক্যাটাগরিতে আহত ১০ হাজার ৬৪৮ জন রয়েছেন। তাঁরা এককালীন ১ লাখ টাকা করে পাবেন। প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন। তাঁরা পুনর্বাসন সুবিধা পাবেন এবং পরিচয়পত্র দেখিয়ে সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

আগামীতে নির্বাচিত সরকার জুলাই অভ্যুত্থানে হতাহতের সুযোগ-সুবিধা বাতিল করতে পারে কি না এবং সে বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কোনো আইন করছে কি না—এমন প্রশ্নে শফিকুল আলম বলেন, জুলাই বিপ্লবের ঘটনাটি কেউ ভুলবে না। আগামীতে যে দলই ক্ষমতায় আসুক তাঁদের জীবনগাথার কথা অবশ্যই সবাই মনে রাখবে। এ ছাড়া সরকার জুলাই বিপ্লব অধিদপ্তর তৈরি করছে।

সরকার আহতদের ক্যাটাগরিতে ভাগ করায় আহত অনেকেই ক্ষুব্ধ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রেস সচিব বলেন, মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরাই আহতদের তিন ক্যাটাগড়িতে ভাগ করেছেন। অনেকেই দুই চোখ হারিয়ে সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হয়েছেন। অনেকে হাত–পা হারিয়েছেন। যাঁরা শারীরিকভাবে সুস্থ তাঁরাও সুবিধা পাবেন। এসব ক্যাটাগরি মেডিকেল বোর্ড তৈরি করেছে। এখানে কারও দ্বিমত করার কিছু নেই।

শফিকুল আলম জানান, মার্চ থেকে শহীদ পরিবারগুলো সহযোগিতা পেতে পারে। তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে দেশে যে অভ্যুত্থান হয়েছে, তাতে অনেকে শহীদ হয়েছেন, অনেকে আহত হয়েছেন। গত ছয় মাস অক্লান্ত পরিশ্রম করে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তথ্য যাচাই করে তাঁদের ডকুমেন্টেশন করা হয়েছে।

এদিকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস বিভাগ থেকে জানানো হয়, কয়েক দিনের মধ্যে পেশাদার সাংবাদিকেরা তিন বছর মেয়াদি অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড পাবেন। ইতিমধ্যে এসংক্রান্ত একটি গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

খালেদা জিয়ার শোক বইয়ে স্বাক্ষর করতে মানুষের ঢল

খালেদা জিয়াকে চিরবিদায় জানাতে আসবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

খালেদা জিয়ার জানাজায় নারীদের জন্য থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা

খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার

প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি: আসিফ নজরুল

খালেদা জিয়ার জানাজা-দাফনে মোতায়েন থাকবেন ১০ হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্য

খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা জানাতে আসবেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে নোয়াবের শোক

আবারও বাড়ল পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনের সময়

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন