দেশে ডেঙ্গু সংক্রমণ ধারা ঊর্ধ্বমুখী। এডিস মশার প্রজননকেন্দ্র ধ্বংসসহ নানা ব্যবস্থা নিয়েও থামানো যাচ্ছে সংক্রমণ। প্রতিদিনই কয়েক হাজার মানুষ মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন, আক্রান্ত হচ্ছেন কয়েক শ। গত একদিনেও প্রায় ৯শ রোগী ডেঙ্গুতে শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন আরও সাতজন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ৬২ জেলায় ছড়িয়ে পড়া ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় (রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ৮৭৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এতে করে শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে ৪৩ হাজার ৯৮২ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে মারা গেছেন ৭ জন। এই নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭৭ জনে ঠেকেছে।
প্রাণহানির যে হার তাতে চলতি মাসের মাঝামাঝি ২০১৯ সালের সর্বোচ্চ মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে যেতে পারে। ওই বছর শুধু সরকারি হিসেবেই রেকর্ড ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও বেসরকারি হিসেবে ৩ শ’র বেশি।
সোমবার সকাল পর্যন্ত সরকারি হিসেবের আওতায় থাকা সারা দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ৩ হাজার ২৭০ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ হাজার ৯৮০ জন এবং ঢাকার বাইরে ১ হাজার ২৯০ জন।
চলমান ভয়াবহ পরিস্থিতি চলতি সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে পারে বলে ধারণা কীটতত্ত্ববিদদের। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার আজকের পত্রিকাকে বলেন, যেহেতু পরিস্থিতি এখনো ঊর্ধ্বমুখী তাই স্থানীয় সরকারের জোরালো পদক্ষেপের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সচেতনতা খুবই জরুরি। উভয়ের এগিয়ে আসার মাধ্যমে এই পরিস্থিতি থেকে বের হওয়া সম্ভব।