কোনো বক্তব্য বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) নিয়ে বিভিন্ন দিক থেকে আসা সুপারিশ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। র্যাব ও এর কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে আইনি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ এখনো প্রক্রিয়াধীন।
আজ বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান মুখপাত্র ও জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক সেহেলী সাবরীন।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে, তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের মন্তব্য বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে কি না—এর উত্তরে মুখপাত্র বলেন, ‘এখানে সময়টি দেখতে হবে বক্তব্যগুলো কবে এসেছে, আর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক কবে হয়েছে। আমার মনে হয় না কোনো প্রভাব ফেলবে। এ বক্তব্যের পরেও বাংলাদেশ বৈঠক করে এসেছে। আমাদের এজেন্ডাগুলো নিয়ে খুব সুন্দরভাবে আলোচনা করে এসেছি।’
সেহেলী সাবরীন বলেন, ঢাকা-ওয়াশিংটন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে জিএসপি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জিএসপি বিষয়টি দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব সংলাপে আলোচনা হয়ে থাকে। এ বিষয়ে আলোচনা চলমান রয়েছে। তৈরি পোশাকশিল্পে কাজের পরিবেশ ও শ্রমিকের স্বার্থ সুরক্ষার কারণে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জিএসপি স্থগিত করেছিল। এর পর থেকে ক্রমাগতভাবে কর্মপরিবেশ ও শ্রমিকদের কল্যাণে ইতিবাচক।
প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন জাপান সফর নিয়ে তিনি বলেন, আগামী ২৫-২৮ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে প্রধানমন্ত্রী জাপান সফর করবেন। এ সফর ৮-১০টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। চুক্তি ও সমঝোতাগুলো চূড়ান্তকরণে দুই দেশ কাজ করছে।