স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘করোনা রোগীর পাশাপাশি ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে। প্রতিদিন আমরা হাসপাতালে দুই থেকে তিন শ ডেঙ্গু রোগী পাচ্ছি। ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থাও আমাদের করতে হয়েছে। ডেঙ্গু চিকিৎসায় আমাদের আলাদা হাসপাতালের ব্যবস্থা করতে হয়েছে। আমরা প্রস্তুত আছি।’
গতকাল বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে ভারতের দেওয়া অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন মন্ত্রী। জাহিদ মালেক বলেন, যেকোনো দুঃসময়ে পরীক্ষিত বন্ধুরাষ্ট্র ভারতই সবার আগে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ায়। কোভিডকালীন দুঃসময়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নতুন করে ১০৯টি উন্নতমানের কার্ডিয়াক অ্যাম্বুলেন্স উপহার
দিয়ে বাংলাদেশের প্রতি ভারতের ভালোবাসার আরেকটি নজির স্থাপন করেছেন। অ্যাম্বুলেন্সগুলো নিঃসন্দেহে দেশের হাসপাতালের সক্ষমতা আরও বেশি বৃদ্ধি করবে।
অনুষ্ঠানে করোনা পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজ আমরা বলতে পারি, করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বর্তমানে সংক্রমণের হার সাড়ে ৭ শতাংশ, যা ৩৩ শতাংশ হয়েছিল। আজ মৃত্যু দেখলাম ৪১, যা ২৭০-এ উঠেছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘করোনায় আমরা অনেককে হারিয়েছি। বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ভারতেও করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশেও কম-বেশি করোনা নিয়ন্ত্রণে এসেছে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এমনিতেই নিয়ন্ত্রণ হয় না। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় করোনা নিয়ন্ত্রণ হয়। করোনাকালে আমাদের অনেক কাজ করতে হয়েছে। একটি ল্যাব থেকে বর্তমানে ৮০০ ল্যাব হয়েছে। প্রতিদিন ১০০টির মতো করোনা টেস্ট হতো। সেখানে বর্তমানে দৈনিক গড়ে ৩০ হাজার টেস্ট করা হচ্ছে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর এ বি এম খুরশিদ আলম ও সিএমএসডির পরিচালক আবু হেনা মোর্শেদ জামান।