ভোট কারচুপি, সাজানো ও প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধ করার অভিযোগে করা মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে দুপুরের দিকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয় হাবিবুল আউয়ালকে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার এসআই শামসুজ্জোহা সরকার তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। হাবিবুল আউয়ালের পক্ষে জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
২৫ জুন রাজধানীর মগবাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২৬ জুন ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদনসহ তাঁকে আদালতে পাঠালে আদালত তিন দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে ২২ জুন সন্ধ্যায় উত্তরা এলাকা থেকে আটক করা হয় আরেক সাবেক ইসি কে এম নূরুল হুদাকে। পরদিন তাঁকে চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় এই মামলায়। গত শুক্রবার নূরুল হুদাকে পুনরায় চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
২২ জুন সকালে শেরেবাংলা নগর থানায় দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পরিচালনাকারী কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, কে এম নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা করে বিএনপি। দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন খান মামলাটি করেন। মামলায় সাবেক সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ২৪ জনকে আসামি করা হয়। হাবিবুল আউয়ালের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগে বলা হয়, তিনি ২০২৪ সালে ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছেন। আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখার জন্য সাজানো নির্বাচন করেছেন। রাষ্ট্র এবং জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তিনি রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগেও অভিযুক্ত। গ্রেপ্তার আসামি একটি দলকে নিয়ে ডামি নির্বাচন সম্পন্ন করে দেশের জনগণের ভোট নষ্ট করে, ভোটের প্রতি জনগণের যে বিশ্বাস তা ভঙ্গ করে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছেন এবং সাংবিধানিক পদে থেকে শপথ ভঙ্গ করে রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধ করেছেন।