জাপানি মা নাকানো এরিকোকে জাপানে থাকা শিশু জেসমিন মালিকাকে নিয়ে বছরে অন্তত দুইবার বাংলাদেশে আসতে হবে। এখানে এসে ৫–৭ দিন অবস্থান করতে হবে। আর নাকানো এরিকোর বাংলাদেশে আসা-যাওয়া ও থাকার সব খরচ বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফকে বহন করতে হবে। এ ছাড়া বাবার কাছে থাকা লাইলা লিনার সঙ্গে মা সময় কাটাতে পারবেন।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে উভয় পক্ষের লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি) মঞ্জুর করে আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল এ আদেশ দেন।
আদালতে নাকানো এরিকোর পক্ষে ছিলেন—ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কেসি। সঙ্গে ছিলেন—আইনজীবী আহসানুল করিম ও শিশির মনির। ইমরান শরীফের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আখতার ইমাম। সঙ্গে ছিলেন রাশনা ইমাম।
আইনজীবী রাশনা ইমাম বলেন, ‘দুপক্ষকেই আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এখন আমরা আপিল করব। মা নাকানো এরিকো বছরে অন্তত দুবার আসতে হবে। আর এসে মিনিমাম ৫–৭ দিন থাকতে হবে। আসা–যাওয়া থাকার খরচ বাবা বহন করবে। প্রতিদিন সাত ঘণ্টা সাক্ষাৎ করতে পারবেন তারা। আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বাবা ও মা দুজনেই সন্তানদের নিয়ে দেশের বাইরে যেতে পারবেন। আর আইনগতভাবে ইমরান শরীফই সন্তানদের অভিভাবক।’
এর আগে গত ১০ জুলাই বড় কন্যা জেসমিন মালিকাকে জাপানে রেখে বাংলাদেশে আসেন জাপানি মা নাকানো এরিকো। চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট দুই সন্তানের বিষয়ে রায় দেন।
রায়ে বলা হয়—বড় মেয়ে থাকবে মায়ের কাছে। আর বাবার কাছে থাকবে মেজো মেয়ে। আর জাপানি মা ও বাংলাদেশি বাবা তাদের সন্তানদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাবেন। বড় দুই মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশের আদালতে মামলা চললেও ছোট মেয়ে জাপানে তার নানির হেফাজতে আছে।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে মেজো মেয়েকে নিজের জিম্মায় পেতে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করেন মা নাকানো এরিকো। আর বড় মেয়েকে নিজের জিম্মায় পেতে পৃথক লিভ টু আপিল করেন বাবা ইমরান শরীফ।