ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে যাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে। আমাদের যে প্রস্তুতি আছে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালকে ঘিরে তা মোটামুটি সন্তোষজনক। এখানে বিআইডব্লিউটিএ, মালিক, শ্রমিক নেতারা যারা আছে তাঁদের সঙ্গে আমি মিটিং করেছিলাম। মিটিংয়ে যে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সেগুলো বাস্তবায়ন কারতে যথাযথ কাজ করছে।
আজ রোববার বেলা সাড়ে ৩টায় ঢাকা সদরঘাট টার্মিনালে ঈদ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিদর্শন করে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, আমি এখানে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে দেখলাম তারাও মোটামুটি সন্তুষ্ট। তারা জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে নিয়ে ভ্রমণ করছে। এছাড়াও শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য আমরা লঞ্চে মোটরসাইকেল না ওঠানোর নির্দেশনা দিয়েছি। যাতে যাত্রীদের কোন অসুবিধা না হয়।
আমি দেখলাম যাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। অনেকে পরিবার নিয়ে ঈদের আগে আগে চলে যাচ্ছে। যাত্রী নিরাপত্তার স্বার্থে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শুধু টার্মিনালের ভেতরে না বাইরের রাস্তাগুলাতেও টহল দিচ্ছে যাতে জায়গাটা নিরাপদ থাকে, কোন ধরনের ভোগান্তি না হয়।
সামনে কালবৈশাখী ঝড়ের সম্ভাবনা আছে এটা নিয়ে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা এবিষয়েও নির্দেশনা দিয়েছি। যাত্রীরা যাতে নির্দেশনা মেনে চলে সে অনুরোধ থাকবে। এছাড়াও আমরা কত যাত্রী নিয়ে যেতে পারবো, আমাদের কত ক্যাপাসিটি আছে সেটা আমাদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে এবং সেটা গণমাধ্যমে আপনারা প্রচার করছেন। যাত্রীর চাপ বেশি থাকলে আমরা ডাবল ট্রিপের ব্যবস্থা করবো। সবাই নির্দেশনা মেনে চললে বাকিটা আমরা সামলিয়ে নিতে পারবো এবং নিরাপত্তা দিয়ে যাত্রী পারাপার করতে পারবো।
এছাড়াও সদরঘাট টার্মিনালে পরিদর্শনকালে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, নৌ-নিরাপত্তা ট্রাফিকের যুগ্নপরিচালক শেখ মো. সেলিম রেজাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, নৌপুলিশ ও আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।