তীব্র স্রোতের মধ্যে নির্দিষ্ট রুট অনুসরণ না করে আড়াআড়িভাবে নদী পার হওয়ার সময় পদ্মা সেতুর পিলারে তিনটি ফেরির ধাক্কা লেগেছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, স্রোত বেশি থাকলে এখন বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হচ্ছে।
সচিবালয়ে বুধবার সচিব সভার সিদ্ধান্ত জানানোর সময় আনোয়ারুল বলেন, ‘পদ্মাতে হঠাৎ করে এমন স্রোত সৃষ্টি হয় যে কারও পক্ষে (ফেরি) কন্ট্রোল করা সম্ভব না। ফেরির মাস্টার রুট অনেক সময় ফলো করেন না। তিনটি ঘটনা ঘটেছে রুট ফলো না করার কারণে। উজানে না গিয়ে ক্রসে এসেছিলেন। এ জন্য তিনটি ঘটনা ঘটেছে।’
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বিআইডব্লিউটিএ’র সারেংরা বাংলাদেশের সব থেকে এক্সপার্ট সারেং। কনফিডেন্স বেশি হওয়া আর নেগলিজেন্স থেকেই এসব ঘটনা ঘটছে। কারণ পিলারের মাঝে ১৫০ মিটার ফাঁকা রয়েছে, ফেরি ১৫ মিটার। ফেরির ১০ গুণ ফাঁকা। পিলারে ২৫ ফুট করে পাইল ক্যাপের জায়গা বাদ দিয়ে ২০ মিটার বাদ দেওয়া হলেও ১৩০ মিটার থাকে। ফেরি হলো ১৫ মিটার। ৬-৭টা ফেরি গেলেও ধাক্কা লাগার কোনো কারণ নেই। এ জন্য আমরা সবাই বসে রুট ঠিক করে দিয়েছি।’
‘তীব্র স্রোতের কারণে মাঝেমধ্যে দুই-তিন দিন করে ফেরি পারাপার বন্ধ থাকে। অন্য কোনো কারণে না। উজানে খুব বেশি বৃষ্টি হলে ফেরি বন্ধ থাকে, কিছুই করার থাকে না। ছোট গাড়ি নিয়ে ফেরি যাচ্ছে। ১৮টি ফেরির মধ্যে ৭টি ফেরি চলতে পারছে।’
রুট ঠিক করে দেওয়ার পরে সারেংদের অবহেলার কারণে পদ্মা সেতুর পিলারে তিনটি ফেরির ধাক্কা লেগেছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি বলেন, আমরা দেখলাম গেগলেজেনসি ছিল। পিলারের সঙ্গে ধাক্কা খাওয়ার কোনো সুযোগ নেই, ক্যাপে ধাক্কা লাগবে। ৬১ মিটার মাটি এক সময় সরে যেতে পারে সেটা মাথায় রেখেই ব্রিজ তৈরি করা হয়েছে।