পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘আমরা মোটেই সংকটে নেই ৷ এটার রিপোর্ট আইএমএফের (আন্তর্জাতিক মুদ্রা সংস্থা) কাছেও আছে। আমি আজকেই পড়েছি আইএমএফ আমাদের সংকটের মধ্যে ফেলেনি। আইএমএফও জানে আমরা সংকটে নেই।’
আজ বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে আবাসনবিষয়ক এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ সব কথা বলেন। বিশ্বব্যাংক গ্রুপের ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি) এবং পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) উদ্যোগে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রচুর খাস জমি রয়েছে। এখানে অর্থায়ন করলে এবং এসব নিয়ে কাজ করলে গৃহায়ণের একটা ভালো সম্ভাবনা তৈরি হবে। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক প্রস্তাবগুলো আমরা বিবেচনা করব।’
বৈঠকে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে দরিদ্রদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প করা হয়েছে। কিন্তু মধ্যবিত্তদের জন্য তেমন কিছু নেই। এ জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে গৃহায়ণের ব্যবস্থা করলে এবং অর্থায়ন করা হলে মানুষ উপকৃত হবে।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান জায়েদী সাত্তার বলেন, ‘বাংলাদেশে শুধু ধনীদেরই জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়, গুলশান বনানী পুরোটাই ধনীদের দখলে। মধ্যবিত্তদের জন্য তেমন কিছু নেই। তাদের কথাও আমাদের ভাবতে হবে।’
বৈঠকে বিশ্বব্যাংকের অপারেশন ম্যানেজার দানদান চেন বলেন, ‘এ দেশে আবাসন খাতে কাজ করার সুযোগ রয়েছে ৷ এটা নিয়ে সব পক্ষগুলো একসঙ্গে কাজ করলে বহু মানুষের গৃহায়ণের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আমি মনে করি।’
পিআরআই এবং ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশনের উদ্যোগে গত বছরের অক্টোবর থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে আবাসনের মূল চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগগুলো নিয়ে পাঁচটি গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার ছিল এর সমাপনী বৈঠক।
বৈঠকে বলা হয়, জমি সংক্রান্ত সরকারি অফিসগুলোতে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আবাসন খাতে খরচ ১০ শতাংশ কমানো সম্ভব। বৈঠকে আবাসন খাতে ডেভেলপমেন্ট রোডম্যাপ এবং পূর্ববর্তী গোলটেবিল বৈঠকগুলো থেকে নেওয়া প্রধান সুপারিশগুলো তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—পরিবেশবান্ধব এবং স্থিতিস্থাপক সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, হাউস বিল্ডার্স/ডেভেলপার এবং বাড়ির ক্রেতাদের জন্য প্রবিধান এবং প্রণোদনা সবুজ সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসনের জন্য অতিরিক্ত প্রণোদনার ব্যবস্থা করা, বেসরকারি খাতের ডেভেলপারদের সহায়তার জন্য একটি তহবিল গঠন করা।