আগামী বছরের হজের বিমান ভাড়া আরও ৪৫ হাজার টাকা কমানোর দাবি জানিয়েছে এজেন্সি মালিকদের সংগঠন হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)। এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর চিঠি দিয়েছে সংগঠনটি।
চিঠিতে বলা হয়েছে, এবার হজের বিমান ভাড়া ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ ধরা হয়েছে। তবে এই ভাড়া কমিয়ে দেড় লাখ টাকা করা সম্ভব। চিঠিতে একটি স্বতন্ত্র কারিগরি কমিটির মাধ্যমে হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া পুনর্নির্ধারণের দাবি জানানো হয়েছে।
আজ রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বিষয়ে চিঠি পাঠান হাবের সভাপতি এম. শাহাদাত হোসাইন তসলিম।
চিঠিতে বলা হয়, পবিত্র হজের সঙ্গে বাংলাদেশের মুসলমানদের আবেগ–অনুভূতি নিবিড়ভাবে জড়িত। বিষয়টি ভীষণ স্পর্শকাতর। কেবল হজযাত্রীদের পরিবার পরিজন, আত্মীয়স্বজন এবং পাড়া প্রতিবেশীই নয় বাংলাদেশের সব মুসলিম নাগরিক বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে থাকে। ২০২৪ সালের হজের বিমান ভাড়া ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্ধারিত ভাড়া বিগত বছরের চেয়ে ২ হাজার ৯৯৭ টাকা কম হলেও, এটি আরও কমানো সম্ভব।
বিমান একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, তাই তাদের একক কর্তৃত্বে ভাড়া নির্ধারণ যথাযথ হয়নি বলে মনে করে হাব। বর্তমানে এয়ারলাইনসগুলো প্রায় ৭৫ হাজার টাকায় ঢাকা–জেদ্দা–ঢাকা রিটার্ন টিকিট বিক্রি করছে। প্রায় ২০ শতাংশ আসন খালি রেখে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। হজের সময় শতভাগ যাত্রী নিয়ে ফ্লাইট গমন করে। তা ছাড়া খালি ফিরতি ফ্লাইটের পরিচালনা ব্যয়ও কম। সাধারণ ফ্লাইটের বিপণন ও সিস্টেম পরিচালনায় অতিরিক্ত ব্যয় করতে হয়, যা হজের ফ্লাইটে করতে হয় না। সে হিসাবেই ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইটের সর্বোচ্চ দেড় লাখ টাকা বিমান ভাড়া হতে পারে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের জন্য দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার। এর মধ্যে সাধারণ প্যাকেজের মূল্য ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা। আর বিশেষ হজ প্যাকেজের মূল্য ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা। সাধারণ প্যাকেজের ব্যয় ২০২৩ সালের হজ প্যাকেজের চেয়ে ৯২ হাজার ৪৫০ টাকা কম। আর বিমান ভাড়া ২ হাজার ৯৯৭ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
১৪৪৫ হিজরি সনের ৯ জিলহজ তারিখে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২০২৪ সালের ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৪ সালের হজযাত্রীর কোটা ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। এর মধ্যে সরকারি মাধ্যমের কোটা ১০ হাজার ১৯৮ জন আর বেসরকারি এজেন্সির কোটা ১ লাখ ১৭ হাজার।