মোটরযান মালিকদের ওপর আরোপিত অগ্রিম আয়কর বাতিল, পুলিশের ঘুষ বাণিজ্য, হয়রানি বন্ধসহ ১৫ দফা দাবিতে তিন দিনের কর্মবিরতি শুরু করেছেন ট্রাকমালিক-শ্রমিকেরা। আজ মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই কর্মবিরতির ফলে সারা দেশে সড়কপথে কার্যত বন্ধ থাকবে পণ্য পরিবহন, যা চলবে ২৪ সেপ্টেম্বর ভোর ৬টা পর্যন্ত।
গত শনিবার এই কর্মবিরতির ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ কাভার্ড ভ্যান-ট্রাক-প্রাইমমুভার পণ্য পরিবহন মালিক অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ট্রাকচালক শ্রমিক ফেডারেশন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ট্রাকচালক শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম পাটোয়ারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৭২ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের দাবি না মানা হলে আরও কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এই সময়ের মধ্যে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান, পিকআপসহ ছোট-বড় যত পণ্য পরিবহনের বাহন আছে, সব বন্ধ থাকবে।’
পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে ট্রাকমালিক-শ্রমিকেরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন উল্লেখ করে আবুল কাশেম আরও বলেন, `আন্দোলন হলেও পণ্য পরিবহনে কখনো ট্রাক বন্ধ থাকেনি। কিন্তু সরকার আমাদের সঙ্গে কথাবার্তা না বলে ট্রাকমালিকদের আয়কর বাড়িয়েছে। এ ছাড়া বিআরটিএ লাইসেন্স দেয় না। কিন্তু যেখানে-সেখানে পুলিশ গাড়ি ধরে মামলা দেয় ও হয়রানি করে। আমরা এসবের অবসান চাই।’
ট্রাকমালিক-শ্রমিকদের দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে মোটরযান মালিকদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া বর্ধিত আয়কর প্রত্যাহার, ভারী মোটরযান চালকদের সহজ শর্তে এবং সরকারি ফির বিনিময়ে লাইসেন্স দেওয়া, ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের ক্ষেত্রে হয়রানিমূলক ফিটনেস ও পরীক্ষাপদ্ধতি বাতিল এবং সব শ্রেণির মোটরযানে নিয়োজিত শ্রমিকদের রাষ্ট্রীয় রেশন সুবিধার আওতায় আনা।
এ ছাড়া সব বন্দরে থাকা ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির মনোনীত প্রতিনিধি এবং চালক ও সহকারীকে বন্দরে প্রবেশের সুবিধার্থে বার্ষিক নবায়নযোগ্য বায়োমেট্রিক স্মার্টকার্ড দেওয়াসহ নানা দাবি জানিয়েছেন ট্রাকমালিক-শ্রমিকেরা।