আত্মীয়তা রক্ষার ব্যাপারে ইসলাম কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে। এ ব্যাপারে কোনো ধরনের শৈথিল্যের সুযোগ ইসলামে নেই। কোরআন ও হাদিসের অসংখ্য জায়গায় বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে বর্ণিত হয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, এ বিষয়ে আমরা অধিকাংশ মানুষই শিথিলতা কিংবা অবহেলা করে থাকি। আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা যে ইমানের অন্তর্ভুক্ত—তা রীতিমতো ভুলে যাই।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা জ্ঞানীদের পরিচয় দিতে গিয়ে বলেছেন, ‘আর যারা আল্লাহ তাআলা তাদের যে সম্পর্ক রক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছেন তা রক্ষা করে এবং মন্দ বিচারের ভয় করে।’ (সুরা রাদ: ২১)
এই আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম তাবারি (রহ.) মুনাফেকের সাতটি গুণাবলি উল্লেখ করে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করাকেও তার সঙ্গে উল্লেখ করেছেন।
অন্যত্র আল্লাহ তাআলা আত্মীয়তা ছিন্নকারীদের প্রতি অভিশাপ দিয়েছেন। নবীজি (সা.) এ বিষয়ে বলেছেন, ‘আত্মীয়তার বন্ধন আল্লাহর আরশের সঙ্গে যুক্ত। সে (আত্মীয়তার বন্ধন) বলে, যে আমাকে বহাল রাখে আল্লাহ তাআলা তাকে বহাল রাখেন। আর যে আমাকে ছিন্ন করে আল্লাহ তাকে ছিন্ন করেন। (সহিহ্ মুসলিম: ২৫৫৫)
কোরআন ও হাদিসের আরও অনেক জায়গায় আত্মীয়তা রক্ষার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণের পাশাপাশি তা ছিন্ন করার ক্ষেত্রে কঠোর ভীতিপ্রদর্শন করা হয়েছে।
বর্তমান সমাজে দেখা যায়, মোটামুটি সকল ক্ষেত্রে ইসলাম মেনে চলেন এমন লোকেরাও আত্মীয়তা রক্ষার ক্ষেত্রে এসে অবহেলা করেন।
আত্মীয়-স্বজনদের খোঁজ-খবর ঠিকমতো রাখেন না। গরজ অনুভব করেন না তাদের অধিকারসমূহ আদায় করার। এমনটা কখনোই উচিত নয়।
আল্লাহ তাআলা আমাদের আত্মীয়তার হকসমূহ যথার্থভাবে পূরণ করার তৌফিক দান করুন।