হোম > বিশ্ব > ভারত

মণিপুরে টানা ১৮ দিন ইন্টারনেট বন্ধ, সংঘাতের শঙ্কা এখনো কাটেনি

কুকি ও মেইতেই সম্প্রদায়ের সংঘাতে গত বছরের মে মাস থেকে মণিপুর উত্তপ্ত হয়ে আছে। ছবি: এএফপি

জাতিগত সহিংসতায় উত্তাল মণিপুরে গত ১৬ নভেম্বর থেকে বন্ধ রয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট। জিরিবাম জেলায় সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে ৯টি জেলায় মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। আজ বুধবার চালু করার কথা থাকলেও ইন্টারনেট বন্ধের সময়সীমা বাড়ল আরও দুই দিন। আগামী বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত মোবাইল ইন্টারনেট ও ডেটা পরিষেবা বন্ধ থাকবে।

গত ২৫ নভেম্বর কাংপোকপি জেলা থেকে একজন নিখোঁজ হওয়া ছাড়া ১৮ নভেম্বরের পর এ ৯ জেলায় কোনো বড় ঘটনা ঘটেনি। তবে কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা এড়াতে মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা আরও দুই দিনের জন্য বাড়ানো হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানান রাজ্য সরকারের এক কর্মকর্তা।

রাজ্য সরকারের নির্দেশিকায় বলা হয়, মণিপুরের ৯টি জেলায় মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা আরও দুই দিন বন্ধ থাকবে। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে পূর্ব ইম্ফল, পশ্চিম ইম্ফল, কাকচিং, বিষ্ণুপুর, থৌবাল, চূড়া চাঁদপুর, জিরিবাম, ফেরজওল ও কাংপোকপি জেলায় আগামী ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে ইন্টারনেট পরিষেবা।

স্বরাষ্ট্র কমিশনার এন অশোক কুমার এক নির্দেশনায় বলেন, বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় আশঙ্কা রয়েছে যে কিছু অসামাজিক গোষ্ঠী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে ছবি, ঘৃণামূলক বক্তব্য ও ভিডিও বার্তা প্রচার করতে পারে। এসব জনসাধারণের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। আইন-শৃঙ্খলার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই একটি প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ হিসেবে মোবাইল ইন্টারনেট ও ডেটা পরিষেবা সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে।

গত মাসে মণিপুরের জিরিবামে কুকি সম্প্রদায়ের সঙ্গে সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ) জওয়ানদের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। এ সময় কুকিরা মেইতেই সম্প্রদায়ের তিন নারী ও তিন শিশুকে অপহরণ করেছে—এমন অভিযোগ ওঠে। এরপর গত ১৫ ও ১৬ নভেম্বর অপহৃত ছয়জনের মরদেহ জিরিবাম জেলায় নদীতে ভেসে আসে। মরদেহগুলো উদ্ধারের পর সহিংসতা বেড়ে যায়। মন্ত্রী–বিধায়কসহ রাজনৈতিক নেতাদের বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ঘটে। বিজেপি ও কংগ্রেসের দুটি দলীয় কার্যালয়ে আগুন দেয় স্থানীয়রা।

এ অবস্থায় মোবাইল ইন্টারনেট ও ডেটা পরিষেবা দুই দিনের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব বিনীত জোশি। এরপর থেকে গত ১৮ দিন ধরে পর্যায়ক্রমে এই স্থগিতাদেশ বাড়ানো হচ্ছে। তবে দুই সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর গত ২৯ নভেম্বর থেকে ৬টি জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত ক্লাস শুরু হয়েছে।

সহিংসতাপ্রবণ ছয়টি জেলা—পূর্ব ইম্ফল, পশ্চিম ইম্ফল, থৌবাল, বিষ্ণুপুর, কাকচিং ও জিরিবামে কারফিউ নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়েছে। তবে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশ অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনো সমাবেশ বা মিছিল করা যাবে না।

কুকি ও মেইতেই সম্প্রদায়ের সংঘাতে গত বছরের মে মাস থেকে মণিপুর উত্তপ্ত। এতে এ পর্যন্ত কয়েকশ মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন অনেকে।

হাদির খুনিদের দুই সাহায্যকারীকে আটকের দাবি নাকচ করল মেঘালয় পুলিশ

ধর্ষণের শিকার নারীকে বিজেপি নেত্রীর স্বামী বললেন, ‘আমার কিছুই হবে না’

বেঙ্গালুরুতে ‘বুলডোজার রাজ’: ৪০০ মুসলিম পরিবারকে উচ্ছেদ, তোপের মুখে কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকার

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিয়ে ফের উদ্বেগ জানাল ভারত

আতঙ্ক ও উত্তেজনার মধ্যে ভারতে বড়দিন ‘উদ্‌যাপন’

ওডিশায় পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম তরুণকে ‘বাংলাদেশি’ বলে পিটিয়ে হত্যা

‘বাংলাদেশি’ তকমায় এক বছরে ২২০০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারত

ছয় মাসের পরিচয়ে বিবাহিতাকে বিয়ের প্রস্তাব, প্রত্যাখ্যান করায় গুলি

তাজমহল একসময় মন্দির ছিল—মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রীর মন্তব্যে নতুন বিতর্ক

বড়দিন ঘিরে খ্রিষ্টানদের ওপর চড়াও ভারতের হিন্দুত্ববাদীরা, উত্তেজনা তুঙ্গে