গত শুক্রবার (২২ আগস্ট) চীনের পূর্বাঞ্চলীয় ঝেজিয়াং প্রদেশের হাংঝু শহরে চীনা সংগীতশিল্পী অ্যাপমোজার্টের একটি কনসার্ট চলছিল। এ সময় একজন নারী দর্শক চিৎকার করে সাহায্যের আবেদন করেন। বিষয়টি নজরে আসে অ্যাপমোজার্টের। তিনি সঙ্গে সঙ্গে কনসার্ট থামিয়ে দেন।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অ্যাপমোজার্টের কনসার্ট চলাকালে ওই নারীকে হেনস্তার ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ওই নারী সাহায্যের জন্য চিৎকার করছিলেন। কনসার্টের উচ্চশব্দের কারণে অ্যাপমোজার্ট প্রথমে ঠিকমতো শুনতে পাননি। তাই তিনি দ্রুত মাইক্রোফোনটি ওই নারীর হাতে তুলে দেন। এরপর ওই নারী মাইক্রোফোনে অভিযোগ করেন, এক অপরিচিত ব্যক্তি তাঁকে হেনস্তা করছেন। তিনি বলেন, ‘ওই বিকৃত মানসিকতার লোকটি আমার পায়ের ওপর ‘‘বীর্যপাত’’ করেছে।’
তিনি হামলাকারীর শারীরিক বর্ণনা দেন—লোকটির পরনে ধূসর রঙের পোশাক ছিল, তিনি কিছুটা স্থূলকায় এবং তাঁর চুলে তেল দেওয়া ছিল। তাঁর উচ্চতাও ওই নারীর মতোই ছিল।
ঘটনার পর র্যাপার অ্যাপমোজার্ট তাৎক্ষণিকভাবে মাইকে বলেন, ‘চলো তাঁকে ধরি।’ তিনি সেখানকার কর্মীদের মঞ্চের সব দরজা বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন এবং সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ যাচাই করতে বলেন। তবে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া সত্ত্বেও হেনস্তাকারী পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। পরে অ্যাপমোজার্ট একটি লাইভ ভিডিওতে জানান, তাঁরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
হাংঝু পুলিশ জানায়, ঘটনার পরদিনই লুও নামের ২৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পাবলিক সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন পানিশমেন্টস আইন অনুযায়ী, ওই ব্যক্তিকে ১৫ দিন পর্যন্ত কারাবন্দী থাকতে হতে পারে।
এ ঘটনার একটি ভিডিও চীনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অনেক ব্যবহারকারী র্যাপার অ্যাপমোজার্টকে ‘ক্যাপ্টেন জাস্টিস’ বলে অভিহিত করেছেন। একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘ওই নারী ঘটনাস্থলে কথা বলে সাহসের পরিচয় দিয়েছেন। তিনি যদি এটা না করতেন, তবে কী ঘটেছে, তা হয়তো তিনি প্রমাণ করতে পারতেন না এবং অপরাধীকে বিচারের আওতায় আনতে পারতেন না।’ আরও এক ব্যবহারকারী হাংঝু পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপের প্রশংসা করে লিখেছেন, ‘দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য হাংঝু পুলিশকে ধন্যবাদ।’