ওপরের চোয়াল, নিচের চোয়াল, ঠোঁট, গালের ভেতরের দিক, ওপরের তালু, জিভ ও দাঁতের মাঝের জায়গা, দুই চোয়ালের শেষ অংশ–এই পুরো জায়গার ক্যানসারকে বলে মুখের কানসার বা ওরাল ক্যানসার।
মুখের ক্যানসারের কারণ
লক্ষণ
এ লক্ষণগুলো থাকা মানেই ক্যানসার নয়। অন্য রোগও হতে পারে। তবে এই উপসর্গগুলো থাকলে ক্যানসারের আশঙ্কা থাকে বহুগুণে বেশি। তাই সতর্ক থাকতে হবে।
রোগ নির্ণয়
প্রাথমিকভাবে ভালো করে রোগীর সমস্যার জায়গাটি দেখে করা হয় ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা। এরপর প্রয়োজন হলে বায়োপসি করতে হয়। বায়োপসি রিপোর্টে বোঝা যায় ক্যানসার আছে কি না। ক্যানসার কতটা ছড়িয়েছে বুঝতে সিটি স্ক্যান, এমআরআই করতে হয়।
চিকিৎসা
মুখের ক্যানসারের মূল চিকিৎসা হলো অপারেশন বা সার্জারি। তবে এ ক্ষেত্রে ক্যানসারের স্টেজ অনুযায়ী চিকিৎসার ধরন থাকে। স্টেজ ১, স্টেজ ২-এর মতো প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ ধরা পড়লে সাধারণত শুধু অপারেশন করেই রোগীকে সুস্থ করা সম্ভব। বেশির ভাগ সময়ই অন্য কোনো চিকিৎসার সাহায্য নিতে হয় না। এ পর্যায়ে ক্যানসারের চিকিৎসায় সাফল্যের হারও বেশি। সময়মতো চিকিৎসকের কাছে না যাওয়ার কারণে বাংলাদেশে প্রাথমিক স্তরে খুব কম মানুষেরই ক্যানসার রোগ ধরা পড়ে। বেশির ভাগ রোগীরই স্টেজ ৩ বা স্টেজ ৪-এর মতো অ্যাডভান্সড স্টেজে রোগ নির্ণয় হয়। এই স্টেজের ক্যানসারে প্রথমে সার্জারি করা হয়। তারপর দেওয়া হয় রেডিওথেরাপি। রোগ খুব খারাপ অবস্থায় থাকলে রেডিওথেরাপির পাশাপাশি কেমোথেরাপি দেওয়া হয়।
খুবই অ্যাডভান্সড স্টেজ, যেখানে সার্জারি করার কোনো উপায় থাকে না, তখন দেওয়া হয় প্যালিয়েটিভ কেয়ার। এই চিকিৎসার মূল উদ্দেশ্য হলো, রোগীর যন্ত্রণা এবং উপসর্গের উপশম করে যতটা সম্ভব ভালো রাখা।
লেখক: চিফ কনসালট্যান্ট (ডেন্টাল ইউনিট), আল-হেলাল স্পেশালাইজড হাসপাতাল, ঢাকা