তাদের চোখে পুড়িয়ে দেওয়ার আগুন না থাকলেও ছিল ছড়িয়ে দেওয়ার আগুন। সাঁওতালি সুর ও বাণী দেশ ও দেশের সীমা ছাড়িয়ে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার স্বপ্ন ছিল তাদের বুকে। এ কারণে নিজেদের সেই স্বপ্নের নাম তারা দিয়েছিলেন ‘সেঙ্গেল’, যার অর্থ আগুন।
সেঙ্গেল ব্যান্ড, যাদের সুরে ভাসত সাঁওতাল ঐতিহ্যবাহী গান। ২০১১ সাল, মানে আজ থেকে প্রায় ১০ বছর আগে যাত্রা শুরু করে এই গানের দল। এর মধ্যে আছে অনেক উত্থান-পতনের গল্প।
এক সময় এই ব্যান্ড স্বপ্ন দেখত সাঁওতালদের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী গানগুলোকে বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার। তারা স্বপ্ন দেখত সাঁওতাল গানকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার। সেই ব্যান্ডে মাদল, পিয়ানো, ড্রামস না বেজে বাজছে আজ ভাঙনের সুর।
সবকিছু ভালোই চলছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই ব্যান্ডটির ভোকালিস্ট রিচার্ড কিস্কুর ফেসবুক স্ট্যাটাস ভক্তদের অনেকটা হতবাক করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া সেই পোস্টে ব্যান্ড থেকে সরে আসার কথা জানান তিনি।
ব্যান্ডটির ভোকালিস্ট রিচার্ড কিস্কু ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘দীর্ঘ দশ বছর একসাথে মিউজিক করার পর জানতে পারলাম, ব্যান্ডে আমার মতো সদস্য না থাকলেও সেঙ্গেল তার আপন গতিতে চলবে। তাই ব্যান্ডে আর নিজের গুরুত্ব খুঁজে পেলাম না। গুরুত্বহীন সদস্য হয়ে আমি আর সেঙ্গেল ব্যান্ডে থাকছি না। সেঙ্গেল ব্যান্ড তার আপন গতিতে চলুক, সেই কামনা করি। বিদায় সেঙ্গেল ব্যান্ড।’
এ বিষয়ে কথা হয় ব্যান্ডটির সদস্য ম্যানুয়েল সরেনের সঙ্গে। সরেন বলেন, ‘আমি আসলে আগে বুঝিনি, এখানে আমার কোনো স্বত্ব নেই। আমি সেঙ্গেল ব্যান্ডের একজন শুভাকাঙ্ক্ষী। তাই পরবর্তীতে যারা আসবে, তাদের জন্যও আমার শুভকামনা থাকবে।’
ব্যান্ড সদস্যদের দল থেকে সরে আসার বিষয়টি ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এ নিয়ে নানা রকমের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন ভক্তরা।