নতুন গান তৈরিতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ব্যবহার করে নিজের কণ্ঠ নকলের অনুমতি দিয়েছেন কানাডিয়ান পপ গায়ক গ্রাইমজ। তিনি এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘আমার কণ্ঠ ব্যবহার করে এআইয়ের মাধ্যমে তৈরি করা কোনো গান সফল হলে—তাতে আমি মাত্র ৫০ শতাংশ রয়্যালিটি নেব।’
এই পপ গায়কের প্রকৃত নাম ক্লেয়ার বুশার। তিনি ওই টুইটের বার্তায় আরও বলেন, ‘এটি কোনো গায়কের সঙ্গে ডুয়েটে ভাগ বসানোর মতোই। তাই আমার কণ্ঠ ব্যবহার করে আপনারা নির্দ্বিধায় গান তৈরি করতে পারেন।’
তাঁর এই ঘোষণা মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে ঝড় তুলেছে। কারণ গত সপ্তাহেই ইউনিভার্সাল মিউজিক সব সাইট থেকে এআই নির্মিত ‘হার্ট ওন মাই স্লিভ’ গানটি সরিয়ে নিতে আদালতে আবেদন করেছে। এই গানে গায়ক ড্রেক ও দ্য উইকেন্ডের কণ্ঠ ব্যবহার করা হয়েছিল।
এক বিজ্ঞপ্তিতে ইউনিভার্সাল জানায়, এআইয়ের মাধ্যমে তাদের শিল্পীদের সংগীত নকল করে গান নকল করা হচ্ছে। বিষয়টি কপিরাইট আইনের লঙ্ঘন। তবে এ বিষয়ে আদালত এখনো কোনো রায় দেননি। বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিবিষয়ক গণমাধ্যম দ্য ভার্জ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইউনিভার্সাল ওই গানটিকে ইউটিউব থেকে সরিয়ে ফেলেছে। কেননা গানটিতে প্রযোজক মেট্রো বুমিংয়ের কম্পোজিশনের একাংশ ব্যবহার করা হয়েছিল, যা কপিরাইট আইনের লঙ্ঘন। এ ছাড়া গানটির মূল কম্পোজিশন মৌলিক গানের মতোই শোনায়।
এদিকে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কপিরাইট অফিস জানিয়েছে, এআই দিয়ে তৈরি করা কোনো আর্ট বা গানের কপিরাইট থাকবে না। কেননা এটি মানুষের সৃষ্টি নয়। তবে কোনো মানুষ এআইকে ব্যবহার করে শিল্পকর্ম করলে সেটির কপিরাইট থাকবে কি না সেসব এখনো অনিশ্চিত।
টুইটারে গ্রাইমজ আরও বলেন, শিল্পকে উন্মুক্ত ও কপিরাইট আইনকে বিলীন করার ধারণাই তাঁকে এমন সিদ্ধান্ত নিতে উদ্বুদ্ধ করেছে। তা ছাড়া তিনি নিজের কণ্ঠ নকলে সক্ষম একটি প্রোগ্রাম তৈরির চেষ্টাও করছিলেন।
তিনি টুইট করার পরপরই অনেকেই তাঁর কণ্ঠ দিয়ে বানানো গানগুলো কমেন্ট করতে থাকে। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি এআইয়ের সঙ্গে আর্ট করতে পারাটা দারুণ ব্যাপার।’
২০২০ সালে গ্রাইমজ মিউজিক কোম্পানি এনডেলের সঙ্গে এআইয়ের মাধ্যমে একটি ঘুমপাড়ানি গান বানাতে চেয়েছিলেন তাঁর ও ইলন মাস্কের সন্তান X Æ A-12–এর জন্য।