মডেলিং দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু মেঘলা মুক্তার। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে ভারতীয় এক বন্ধুর মাধ্যমে কাজের প্রস্তাব আসে। হায়দরাবাদে গিয়ে অডিশন দেন মেঘলা। একদিন খবর আসে অডিশনে টিকে গেছেন। শুরু হয় বাংলাদেশের মেয়ে মেঘলা মুক্তার ভারত জয়ের গল্প।
প্রথম ছবি শিবা গণেশ পরিচালিত ‘সাকালাকা ভাল্লাভুডু’ মুক্তি পেয়েছে ২০১৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি। দ্বিতীয় ছবি ‘ইয়্যারা চ্যারা’ করোনার কারণে মুক্তি আটকে ছিল। মাঝখানে কথা উঠেছিল ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আমাজন প্রাইম ভিডিওতে মুক্তি পাবে ছবিটি। কিন্তু হল খুলে দেওয়ায় এখন হলে মুক্তির প্রস্তুতি চলছে। মেঘলা প্রস্তুতি নিচ্ছেন সেখানকার তৃতীয় ছবির শুটিংয়ের। গত মাসেই হায়দরাবাদে গিয়ে এই ছবির প্রাথমিক আলোচনা সেরেছেন।
তিনি বলেন, ‘কথা বলে এসেছি। এখনই কিছু বলতে চাচ্ছি না। আমার মা অসুস্থ। তিনি সুস্থ হলে হায়দরাবাদে গিয়ে কথা চূড়ান্ত করতে হবে। তখন সব বলব।’
করোনার প্রকোপ শুরু হলে বাংলাদেশে চলে আসেন মেঘলা। এখনো আছেন দেশে। মেঘলা বলেন, ‘ওখানে অভিনয়ের বিভিন্ন ওয়ার্কশপ করেছি। শেখার তো শেষ নেই। প্রতিনিয়তই শিখতে হয়। আমি ওখানকার একটা এজেন্সির আন্ডারে আছি। ওখানে প্রতিযোগিতা এত বেশি যে সব সময় চেষ্টা করতে হয় নিজের স্কিলগুলো আরও বাড়িয়ে তুলতে। সময়ও আসলে বেশি থাকে না। প্রতিদিন জিম থাকে। জিমের পর সুইমিং করি। ড্যান্স, মার্শাল আর্টের জন্য ক্লাস করতে হয়। হর্স রাইডিংও শিখছি। এতসবের মধ্যেই টুকটাক কর্মশালা করি। ঘরে ফিরে সময়টুকু বরাদ্দ থাকে কেবল ঘুমের জন্য, বিশ্রামের জন্য।’
প্রথম ছবি মুক্তির পরপরই হায়দরাবাদে বাসা নিয়েছেন মেঘলা মুক্তা। তিনি বলেন, ‘ভাষাটা ভিন্ন হতে পারে, তবে পরিবেশটা আমাদের মতোই। ওখানকার মানুষ যেভাবে আপন করে নিয়েছেন, তাতে কখনোই মনে হয়নি যে আমি দেশের বাইরে আছি।’
বাংলাদেশের ছবিতেও শুটিং করছেন মেঘলা মুক্তা। সাইফুল ইসলাম মান্নুর ‘পায়ের ছাপ’ ছবির নায়িকা তিনি। শুটিং শেষে এখন ছবিটির পোস্ট প্রোডাকশন চলছে। শিগগিরই মুক্তি পাবে ছবিটি। ছবিটি নিয়ে মেঘলা বলেন, ‘সমাজের একজন নারীর সংগ্রাম ও সফলতার গল্প দেখা যাবে এ ছবিতে। আমার চরিত্রের নাম মায়া। এ চরিত্রের অনেকগুলো শেড রয়েছে।’ জানুয়ারি মাসে মেঘলা শুটিং করবেন কৌশিক শংকর দাশ পরিচালিত ‘পাঞ্চ’ ছবির।