হোম > বিনোদন > সিনেমা

আজ সত্যজিৎ রায়ের প্রয়াণ দিবস

আজ ২৩ এপ্রিল উপমহাদেশের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের প্রয়াণ দিবস। ১৯৯২ সালের ২৩ এপ্রিল হৃদ্‌যন্ত্রের জটিলতায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। চলচ্চিত্র নির্মাণের পাশাপাশি তিনি একাধারে ছিলেন চিত্রনাট্যকার, শিল্প নির্দেশক, সংগীত পরিচালক ও লেখক। তাঁর ডাক নাম ছিল মানিক। ১৯২১ সালের ২ মে প্রখ্যাত শিশু সাহিত্যিক সুকুমার রায় ও সুপ্রভা দেবীর কোল আলো করে উত্তর কলকাতার খ্যাতনামা রায় পরিবারে জন্ম নেন সত্যজিৎ। তাঁদের আদি নিবাস ছিল কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলার মসুয়া গ্রামে। 

সত্যজিৎ কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ ও শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। কর্মজীবনের শুরুতে তিনি কমার্শিয়াল আর্টিস্ট হিসেবে বিজ্ঞাপন সংস্থায় যোগ দেন। এই পেশায় থাকাকালীন ‘পথের পাঁচালী’র ছোটদের সংস্করণ ‘আম আঁটির ভেঁপু’র প্রচ্ছদ আঁকতে গিয়ে তিনি ‘পথের পাঁচালী’কে চিত্রায়িত করার সিদ্ধান্ত নেন। ঘটনাচক্রে একই বছর প্রখ্যাত ফরাসি পরিচালক জ্যঁ রেনোয়া তাঁর ‘দ্য রিভার’ চলচ্চিত্রটির শুটিং করতে কলকাতায় আসেন। ‘দ্য রিভার’ ছবিতে রেনোয়ার সহকারীর কাজ করতে গিয়েই সম্ভবত পুরোপুরিভাবে এক চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার চিন্তাভাবনা শুরু করেন সত্যজিৎ। তবে লন্ডনে সফররত অবস্থায় ইতালীয় নব্য বাস্তবতাবাদী চলচ্চিত্র ‘লাদ্রি দি বিচিক্লেত্তে’ (দ্য বাইসাইকেল থিফ) দেখার পরই তিনি চলচ্চিত্র নির্মাণে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন। 

সত্যজিৎ রায় ৩৭টি পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনিচিত্র, প্রামাণ্যচিত্র ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। তাঁর নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘পথের পাঁচালী’ (১৯৫৫) ১১টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করে, যার মধ্যে অন্যতম ছিল কান চলচ্চিত্র উৎসবে পাওয়া ‘বেস্ট হিউম্যান ডকুমেন্ট’ পুরস্কারটি। তারপর একের পর এক তিনি আমাদের উপহার দিয়েছেন ‘অপরাজিত’, ‘অপুর সংসার’, ‘পরশপাথর’, ‘জলসাঘর’, ‘তিন কন্যা’, ‘দেবী’, ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’, ‘ঘরে-বাইরে’, ‘চারুলতা’, ‘চিড়িয়াখানা’, ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’, ‘নায়ক’, ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’, ‘সোনার কেল্লা’, ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’, ‘গণশত্রু’, ‘শাখা-প্রশাখা’, ‘আগন্তুক’সহ ২৭টি কাহিনিচিত্র। পথের পাঁচালী, অপরাজিত ও অপুর সংসার—এই তিনটি একত্রে অপু ত্রয়ী নামে পরিচিত এবং এই চলচ্চিত্র-ত্রয়ী সত্যজিতের জীবনের শ্রেষ্ঠ কাজ হিসেবে বহুল স্বীকৃত। 

বর্ণময় কর্মজীবনে তিনি বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন, যার মধ্যে বিখ্যাত হলো ১৯৯২ সালে পাওয়া একাডেমি সম্মানসূচক পুরস্কার (অস্কার), যা তিনি সমগ্র কর্মজীবনের স্বীকৃতি হিসেবে অর্জন করেন। তিনি এ ছাড়া ৩২টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, একটি গোল্ডেন লায়ন, দুটি রৌপ্য ভল্লুক লাভ করেন। সত্যজিৎ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯২ সালে ভারত সরকার তাকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ভারতরত্ন সম্মাননা প্রদান করে। সত্যজিৎ ভারতরত্ন, পদ্মভূষণসহ সব মর্যাদাপূর্ণ ভারতীয় পুরস্কার লাভ করেছেন।

সৌদির রেড সি ফেস্টিভ্যালে সেরা রোহিঙ্গা ভাষার ‘লস্ট ল্যান্ড’

ঈদে মুক্তি পাবে ‘ট্রাইব্যুনাল’

ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে দেখা করলেন সোনিয়া, জানালেন কেমন আছেন নায়ক

কাজাখস্তানে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানালেন নিশো

নতুন করে সাজানো হয়েছে গল্প, ফেব্রুয়ারিতে শুরু হবে শুটিং

‘নারীশাসিত পুরুষ’: সাহস থাকলে সামনে এসে কথা বল—আসিফকে ওমর সানীর চ্যালেঞ্জ

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লীবলিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি— আসিফের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

পর্দায় টমি মিয়া হবেন সাজ্জাদ হোসেন

শিল্পীদের বিদেশে স্থায়ী হওয়ার কারণ জানালেন মিশা সওদাগর

খালিদ বিন ওয়ালিদকে নিয়ে সিনেমা বানাচ্ছে সৌদি আরব