অসদাচরণের অভিযোগে হল প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ উঠেছে।
আজ শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ক্যাম্পাসের গোল চত্বরে ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জহির উদ্দিন আহমেদ এবং প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. আলমগীর কবিরের উপস্থিতিতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এ সময় আন্দোলনে সংহতি জানাতে যাওয়া ১০-১২ জন শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর করা হয়। হামলাকারীদের হাত থেকে তাঁদের বাঁচাতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হন আন্দোলনরত কয়েকজন ছাত্রী।
অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা আশরাফ কামাল আরিফ বলেন, ‘আমরা একটা অ্যাম্বুলেন্সকে পথ করে দিতে গেলে তারা বাধা দেয়। তখন এ নিয়ে আমাদের সঙ্গে একটু হাতাহাতি হয়।’
আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী সাদিয়া বলেন, ‘প্রথমে একটা অ্যাম্বুলেন্স এলে আমরা সেটাকে পথ করে দিই। পরবর্তী সময়ে আরেকটা অ্যাম্বুলেন্স এলে আমরা সেটাকেও পথ করে দিই। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্সের পেছন পেছন এসে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা আন্দোলনরতদের মাঝে ঢুকে পড়ে।’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘এ সময় তাঁরা কয়েকজন ছাত্রীকে ধাক্কা দেয়। একপর্যায়ে আন্দোলনে সংহতি জানাতে আসা ১০-১২ জন ছাত্রকে তারা বেধড়ক মারধর করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং ছাত্র উপদেষ্টার উপস্থিতিতেই এই হামলার ঘটনা ঘটে।’
এ ঘটনায় ক্যাম্পাসজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ ও সহকারী প্রাধ্যক্ষদের পদত্যাগ, হলের যাবতীয় অব্যবস্থাপনা দূর করে সুস্থ-স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত এবং ছাত্রীবান্ধব ও দায়িত্বশীল প্রাধ্যক্ষ কমিটি নিয়োগের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে আন্দোলন করছেন হলের কয়েক শতাধিক ছাত্রী।
শিক্ষার্থীদের দাবি বাস্তবায়ন ও মারধরের বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।