সিলেট নগরীর বটেশ্বর এলাকা থেকে মুরারি চাঁদ (এমসি) কলেজের এক ছাত্রীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের ধারণা ওই কলেজছাত্রী অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছেন। তবে তাঁর সঙ্গে থাকা কোনো কিছু খোয়া যায়নি। পরে পুলিশ ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে পাঠায় এবং সঙ্গে থাকা ফাইলের ভেতর থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করে।
আজ সোমবার দুপুরে শহরতলির বটেশ্বর এলাকার গ্রিন লঙ্কা রেস্তোরাঁর সামনে থেকে তাঁকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ওই শিক্ষার্থীর বরাত দিয়ে পুলিশ বলছে, সোমবার সকালে বাড়ি থেকে কলেজের
পরীক্ষা দিতে ওই ছাত্রী বের হয়েছিলেন। বেলা ১১টার দিকে তিনি সিলেট নগরের বন্দরবাজার এলাকার একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ওঠেন। অটোরিকশায় তাঁর দুই পাশে দুই নারী উঠেছিলেন। এরপর তিনি আর কিছু বলতে পারেননি। পরে দুপুরে থানায় খবর আসে শহরতলির বটেশ্বর এলাকার গ্রিন লঙ্কা রেস্তোরাঁর সামনে একটি মেয়ে অচেতন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁকে উদ্ধার করে। পরে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হলে বিকেলের দিকে তাঁর জ্ঞান ফেরে।
পুলিশ যখন তাঁকে উদ্ধার করে তখন তার সঙ্গে থাকা ফাইলের ভেতরে টিস্যুর মধ্যে ছোট করে লেখা একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। কলম দিয়ে চিরকুটে লেখা ‘ও আমাদের শিকার নয়। আমাদের গাড়িতে সিগন্যাল দিছে, এর লাগি আমরা পুরিরে (সিগন্যাল দেওয়ায় মেয়েকে) গাড়িত তুলতে বাধ্য হইছি। কোনো ভালো মানুষ পাইলে পৌঁছায় দিও।’
এ বিষয়ে হযরত শাহপরান (রহ.) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছিলেন ওই কলেজছাত্রী। তবে তাঁর কাছে মোবাইল কিংবা তেমন কিছুই ছিল না। এ জন্য সম্ভবত তাঁকে রেখে গেছে। কলেজছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের ডেকে তাঁকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ওসি আরও বলেন, ‘মেয়েটির জ্ঞান ফিরেছে। তিনি এখন শঙ্কামুক্ত।’