শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আজ রোববারের (১৬ জানুয়ারি) ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট বডির সব সদস্যের পদত্যাগসহ তিন দফা দাবি ও অবস্থান কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচি। রোববার দাবি মেনে না নেওয়া হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
শনিবার (১৫ জানুয়ারি) দিনগত রাত ১টায় এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় শিক্ষার্থীদের বেঁধে দেওয়া ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম শেষ হয়। আল্টিমেটাম শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ চলাকালে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ছাত্রলীগ হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তবে হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।
এ সময় আন্দোলনে সংহতি জানাতে যাওয়া ১০-১২ জন শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর করা হয়। হামলাকারীদের হাত থেকে তাঁদের বাঁচাতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হন আন্দোলনরত কয়েকজন ছাত্রী।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনিক কর্মকর্তা মৃন্ময় দাস ঝোটনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতা খলিলুর রহমান, আশরাফ কামাল আরিফ, সজিবুর রহমান, ঋষাণ তন্ময়, মাহবুবুর রহমান, সাজ্জাদ হোসেন, শফিউল হক রাব্বি এই হামলা চালান।
অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগের নেতা আশরাফ কামাল আরিফ বলেন, ‘আমরা একটা অ্যাম্বুলেন্সকে পথ করে দিতে গেলে তারা বাধা দেয়। তখন এ নিয়ে আমাদের সঙ্গে একটু হাতাহাতি হয়।’
এ ব্যাপারে ছাত্রলীগের নেতার মতোই বক্তব্য দিয়েছেন প্রক্টর আলমগীর কবির। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘একটি অ্যাম্বুলেন্সকে পথ করে দিতে সেখানে কয়েকজন শিক্ষার্থী যান। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অ্যাম্বুলেন্স যেতে বাধা দিলে একটু হাতাহাতি হয়।’