গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সোনাচং গ্রামে স্ত্রী আকলিমা বেগমকে (৩৫) কুপিয়ে তাঁর হাত-পা বিচ্ছিন্ন করে দেন সাবেক স্বামী সুজন মিয়া (৩৮)। পরে হাসপাতালে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সুজন মিয়াকে আটক করে পুলিশ।
সুজন মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে আজ রোববার দুপুরে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্ত্রী আকলিমা তালাক দিয়ে অন্যত্র বিয়ের করায় ক্ষোভ থেকে তাঁকে হত্যা করেন সুজন মিয়া।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০ বছর আগে দিনমজুর সুজন মিয়ার সঙ্গে আকলিমার বিয়ে হয়। তাঁদের সাতটি সন্তান রয়েছে। সুজন মিয়া প্রায়ই নেশা করে বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন। এ নিয়ে দ্বন্দ্বে আকলিমা কয়েক মাস আগে সুজনকে তালাক দিয়ে অন্যত্র বিয়ে করেন।
গতকাল সন্ধ্যায় ক্ষিপ্ত হয়ে রাস্তায় পেয়ে সুজন তাঁর সাবেক স্ত্রী আকলিমার ওপর হামলা চালান। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাঁর হাত-পা বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন।
পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুরুতর আহত অবস্থায় আকলিমাকে উদ্ধার করে চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। অবস্থার অবনতি হলে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আকলিমার মেয়ে (১৬) জানায়, তার বাবা সুজন মিয়া মাদকাসক্ত। প্রায়ই নেশা করে বাড়ি ফিরে মাকে নির্যাতন করতেন। এমন অবস্থায় মা আকলিমা তালাক দিয়ে অন্যত্র বিয়ে করেন।
কান্না জড়িত কণ্ঠে সে বলে, ‘বাবা জেলে, আর মা কবরে। এ অবস্থায় আমরা সাত ভাই-বোন দুপুরে না খেয়ে আছি।’
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল হক জানান, ক্ষোভ থেকে এ ঘটনা ঘটেছে। আসামিকে আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।