সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের চালবন্দ এলাকায় একটি মরিচখেত থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ বা স্বাধীনতা যুদ্ধকালে ব্যবহৃত একটি গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে। পরে সেনাবাহিনীর বোম ডিসপোজাল ইউনিট সেটি নিষ্ক্রিয় করে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কৃষক সাব্বির আহমদ তার জমিতে কাজ করার সময় মাটির নিচে ধাতব বস্তুর মতো কিছু দেখতে পান। পরে কাছের কয়েকজনকে দেখালে তাঁরা এটিকে গ্রেনেড সন্দেহ করে স্থানীয় প্রশাসনকে খবর দেন।
বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুখলেছুর রহমান বলেন, ‘খবর পাওয়ার পরপরই আমরা ঘটনাস্থলে যাই এবং বিষয়টি শান্তিগঞ্জে অবস্থিত সেনাবাহিনীকে জানাই। শুক্রবার দুপুরে সেনাবাহিনীর বোম ডিসপোজাল ইউনিট এসে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করে।’
এ বিষয়ে শান্তিগঞ্জ সেনা ক্যাম্পের ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট কর্নেল আল হোসাইন আজকের পত্রিকাকে জানান, গ্রেনেডটি K36 অথবা M36 মডেলের। এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ব্যবহৃত হয়ে থাকতে পারে। তাঁর ভাষায়, ‘গ্রেনেডটি হয়তো দীর্ঘদিন মাটির নিচে চাপা ছিল, অথবা কেউ অন্য কোথাও থেকে এনে এখানে ফেলে রেখে গেছে। উদ্ধার হওয়া গ্রেনেডটি সক্রিয় ছিল এবং তাৎক্ষণিক নিষ্ক্রিয় না করলে তা ভয়াবহ বিপদের কারণ হতে পারত।’
জমিতে আরও বিস্ফোরক আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী।