লালমনিরহাটে স্নাতকোত্তরের ব্যবহারিক পরীক্ষা দিতে এসে সন্তান জন্ম দিয়েছেন হাজেরা খাতুন নামের এক পরীক্ষার্থী। আজ বুধবার দুপুরে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাঁর ছেলেসন্তান হয়। পরে হাসপাতালেই তাঁর পরীক্ষা নেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ।
হাজেরা খাতুন কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়ানের চর বজরা গ্রামের আব্দুর রশিদের স্ত্রী। তিনি হাতীবান্ধা সরকারি আলীমুদ্দিন কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে পড়ালেখা করেন।
হাসপাতাল ও পরীক্ষাকেন্দ্র জানায়, আজ ছিল ব্যবহারিক পরীক্ষা। পরীক্ষা দিতে স্বামীসহ অটোরিকশাযোগে বাড়ি থেকে হাতীবান্ধা সরকারি আলীমুদ্দিন কলেজ কেন্দ্র আসছিলেন অন্তঃসত্ত্বা হাজেরা খাতুন। কলেজ গেটে পৌঁছানোর আগে হঠাৎ হাজেরার প্রসব বেদনা উঠলে ফোন দেন কলেজ কেন্দ্র সচিবকে। তিনি খবর পেয়ে তাঁকে দ্রুত হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির পরামর্শ দেন। সেখানে হাজেরা খাতুন ছেলেসন্তানের জন্ম দেন। পরে পরীক্ষাকেন্দ্রের শিক্ষকেরা হাসপাতালে গিয়ে তাঁর ব্যবহারিক পরীক্ষা নেন। এ সময় কলেজ কর্তৃপক্ষ নবজাতককে উপহার দেন। পরে মা ও নবজাতককে অ্যাম্বুলেন্সে করে কুড়িগ্রামে নিজ বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
হাজেরা খাতুনের স্বামী আব্দুর রশিদ বলেন, ‘আমাদের একটি মেয়েসন্তান রয়েছে। আজকে ছেলেসন্তান পেয়েছি। কেন্দ্রে পৌঁছার আগে হাজেরার প্রসব বেদনা শুরু হয়। পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে অবগত করে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে হাজেরা ও সন্তান সুস্থ রয়েছে।’
সরকারি আলীমুদ্দিন কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোজাম্মেল হক বলেন, সন্তান প্রসব হলে হাসপাতালেই ওই শিক্ষার্থীর ব্যবহারিক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আনারুল হক বলেন, বর্তমানে নবজাতক ও মা দুজনে সুস্থ রয়েছে। তাদের বাড়ি পাঠানো হয়েছে।