দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে তলব করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। গাইবান্ধা-৪ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও সিনিয়র সহকারী জজ মো. মামুনুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় আবুল কালাম আজাদকে গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র সহকারী জজ (চৌকি) আদালতে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন অনুসন্ধান কমিটি।
তলবের আদেশে বলা হয়, রোববার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বাইগুনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে সবাইকে ভূরিভোজ করানো হয়। সেখানে ভোটারদের জন্য চারটি চুলায় চার মণ চাল ও এক মণ মুরগির মাংসের খিচুড়ি রান্না হয়। এ নির্বাচনী সভায় বক্তব্য দেন নৌকার মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ।
এর আগে গাইবান্ধা-৪ আসনের একজন সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে গত ১ ও ২ ডিসেম্বর উপজেলার শুমানিগঞ্জ ইউনিয়নে ও গোবিন্দগঞ্জ সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে শান্তি সমাবেশ ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভার নামে নেতা-কর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছেন আবুল কালাম আজাদ। এ ছাড়া উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে সভা ও সমাবেশ করা হয়। ভোট নেওয়ার নির্ধারিত ৩ সপ্তাহের আগে নির্বাচনী প্রচারণা করায় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘন করেছেন। সে সময় গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র সহকারী জজ (চৌকি) আদালতে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্দেশ দেন গাইবান্ধা-৪ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও সিনিয়র সহকারী জজ মো. মামুনুর রশিদ।
এ বিষয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বাইগুনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গত রোববার নির্বাচনী অনুষ্ঠানে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানকার খাওয়া-দাওয়ার ঘটনায় আমাকে শোকজ করা হয়েছে।’