লালমনিরহাট (রংপুর): লালমনিরহাটে এক সাংবাদিককে ফেন্সিডিল দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করার প্রতিবাদে মৌন মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন জেলায় কর্মরত সাংবাদিকগণ। শহরের মিশনমোড় এলাকায় আজ শনিবার বেলা ১১টায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সাংবাদিক ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশ নেন।
মানববন্ধনে নির্যাতনের সাথে জড়িত বিজিবি সদস্যদের শাস্তি দাবি করা হয়। মানববন্ধনে দৈনিক আজকের পত্রিকা ও যমুনা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি আনিছুর রহমান লাডলা, সাংবাদিক আহমেদুর রহমান মুকুল, ডেইলি ষ্টারের দীলিপ রায়সহ আরও অনেকেই বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের কুলাঘাট বাজার এলাকা থেকে ভারতীয় এক বোতল ফেন্সিডিলসহ জাহাঙ্গীর আলম শাহীন নামে এক সাংবাদিককে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তাকে শুক্রবার দুপুরে আদালতে হাজির করা হয়। লালমনিরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফাজউদ্দিনের আদালত তাকে জামিন দেন। ভুক্তভোগী সাংবাদিক দৈনিক জনকন্ঠ ও বাসসের জেলা প্রতিনিধি ও আদিতমারী মহিষখোচা স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক।
অভিযোগ উঠেছে, কুলাঘাট বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা ওই সাংবাদিককে বেদম প্রহার করে ভারতীয় এক বোতল ফেন্সিডিল দিয়ে গ্রেপ্তারের নাটক সাজিয়েছে। গ্রেপ্তার সাংবাদিকের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই শুরু হয় নানামুখী সমালোচনা।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম শাহীন দাবি করে বলেন, পূর্ব ঘটনার জের ধরে ওই ক্যাম্পের সদস্যরা তার উপর অমানবিক নির্যাতন করে। পরে এক বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিলসহ বিজিবি তাকে সদর থানায় সোর্পদ করে। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত দাবি করেন।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি অধিনায়ক লে: কর্ণেল তৌহিদুল আলম সাংবাদিক পেটানোর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আসামী পালাতে চেষ্টা করলে তার সাথে ধস্তাধস্তি হয় বিজিবি সদস্যের। ওই সময়ে তিনি সামান্য আঘাতপ্রাপ্ত হন। ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ছবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওই ছবি বিজিবি পোস্ট বা সরবরাহ করেনি।