রংপুরের মিঠাপুকুরে ঝুঁকি নিয়ে চলছে ধান শুকানোর কাজ। উপজেলার রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক ও মিঠাপুকুর-দিনাজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কসহ বিভিন্ন স্থানে সড়কেই ধান শুকাচ্ছেন চাষিরা। এতে ওইসব সড়ক দিয়ে যানবাহনকে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। জীবনের ঝুঁকি রয়েছে সড়কে ধান শুকানোর কাজে নিয়োজিতদেরও। যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাষিরা একরকম নিরুপায় হয়েই সড়কে ধান শুকাতে এসেছেন। রংপুরের মিঠাপুকুরে ধান কেটে বেকায়দায় পড়েছিলেন চাষিরা। ধান কাটার পরপরই শুরু হয় বৃষ্টি। মেঘাচ্ছন্ন আকাশ ও বৃষ্টির কারণে ধান শুকাতে পারছিলেন না তাঁরা। গত সোমবার থেকে ঝলমলে রোদ পেয়ে ধান শুকানোর ধুম পড়ে যায়। তবে ব্যক্তিগত চাতাল বা ধান শুকানোর মতো জায়গা না থাকায় সড়ক ও মহাসড়কেই ধান ও গোখাদ্য খড় শুকাতে আসেন তাঁরা।
স্থানীয় চাষিরা বলেন, ধান না শুকিয়ে স্তূপ করে রাখলে তাতে চারা গজিয়ে যায় এবং দুর্গন্ধ হয়। তাই সড়ক-মহাসড়কেই ধান শুকাতে আনতে হয়েছে।
ধান শুকাতে দেখা গেছে উত্তরের জনপদের সবচেয়ে ব্যস্ততম রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে। এ ছাড়া গড়ের মাথা, জায়গীর ও বৈরাগীগঞ্জ এলাকায়, মিঠাপুকুর-দিনাজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের রসিদপুর, ভবানীপুর, পাগলার হাট, মোসলেম বাজার, তালিমগঞ্জ এলাকায় এবং গাইবান্ধা-মিঠাপুকুর-দিনাজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কেও ধান শুকাতে দেখা গেছে।
মহাসড়কে ধান শুকাতে আসা মনোয়ার হোসেন রাখু জানান, তিনি দুই বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান চাষ করেন। ধান কাটার পরই শুরু হয় বৃষ্টি। বেশি দিন স্তূপ করে রাখলে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকায় মহাসড়কে ধান শুকাচ্ছেন।
এদিকে সড়কে ধান ও খড় শুকানোয় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন চালক ও যাত্রীরা। মোটরসাইকেল আরোহী ওয়াজেদ মিয়া বলেন, সড়কে গো-খাদ্য খড় শুকানোর কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।
সড়কে ধান-খড় শুকানোর কারণে দুর্ঘটনার খবরও পাওয়া গেছে। গ্রাম পুলিশ চন্দন মহন্ত বলেন, ‘সড়কে খড় শুকাতে দেওয়ায় আমি মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়েছি।’
বৈরাতী তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ আঞ্চলিক ওই সড়কে ধান না শুকানোর জন্য চাষিদের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন পরিদর্শক রফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, সড়ক-মহাসড়কে ধান শুকানোর কাজে নারীদের সংখ্যাই বেশি।