রংপুর বিএনপির সম্মেলনের এক দিন আগে পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছে রংপুর পরিবহন মালিক সমিতি। আজ শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে আগামীকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই পরিবহন ধর্মঘট চলবে। পরিবহন ধর্মঘটের কারণে বিকল্প পথে আগেভাগেই সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। রাতভর চলেছে সমাবেশস্থলে ব্যানার-ফেস্টুন লাগানোর কাজ।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে রংপুর কালেক্টর ঈদগাহ মাঠের সভাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, মাঠে ফ্রেমে ব্যানার সাজাতে ব্যস্ত কাউনিয়ার মোমিনুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম। তাঁরা জানান, কাউনিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাহফুজার রহমান মিঠুর হয়ে পোস্টার লাগাচ্ছেন তাঁরা। তাঁরাও বিএনপির সমর্থক।
রাত জেগে কাজ করছেন কেন এমন প্রশ্নের জবাবে মাহফুজার রহমান বলেন, ‘দলের প্রতি ভালোবাসা থেকে সমাবেশ সফল করতে কাজ করছি। বড় বড় ব্যানার-ফেস্টুনগুলো টানাতে আজ সারা রাত লাগবে। শুক্রবার সকাল হলেই মাঠে লোকজনে ভরে যাবে, তখন কাজ করতে পারব না। তাই রাতেই আমরা কাজ করছি।’
মাহফুজার রহমান আরও বলেন, ‘পরিবহন ধর্মঘট হবে তা আগে থেকেই জানতেন ঠাকুরগাঁওয়ের যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা। তাই তাঁরাও আজ রাতে মাইক্রোবাসে করে সমাবেশের মাঠে পৌঁছেছেন। পথে পুলিশের বাধার মুখে পড়লেও তাঁরা রাত ১১টার দিকে সমাবেশস্থলে এসেছেন।’
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সরকার নুরুজ্জামান নুর বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই জানতাম পরিবহন ধর্মঘট হবে। তাই আমরা মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল, পিকআপ ভ্যানে প্রায় পাঁচ হাজার নেতা-কর্মী ও সমর্থক সভাস্থলে এসেছি। পথে পুলিশ আমাদের চেক করেছে। তবু আমরা সভাস্থলে পৌঁছেছি। আমরা এখন ব্যানার-ফেস্টুন লাগাব। এলাকা থেকে অনেকেই রওনা দিয়েছেন। তাঁরাও শুক্রবার ভোরের মধ্যে পৌঁছাবেন।’
আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন এরই মধ্যে ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ সভাস্থলে ছুটে এসেছেন। পুলিশ ও পরিবহন শ্রমিকের ঘাড়ে বন্দুক রেখে যতই সমাবেশে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করুক না কেন, সমাবেশ যেকোনো মূল্যে সফল করা হবে। আগামীকাল রংপুরে গণজোয়ার হবে।’