দিনাজপুরে পৃথক দুটি স্থানে রেল লাইনে পড়ে দুই মানসিক প্রতিবন্ধী মারা গেছেন। আজ মঙ্গলবার সদরের কাউগাঁ এলাকায় ও সেতাবগঞ্জ স্টেশনের পাশে মোল্লাপাড়া নাম এলাকায় দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
জানা যায়, মঙ্গলবার মানসিক প্রতিবন্ধী মিন্টুকে (৪১) চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। সে জন্য সকালে ভাত খেয়ে বের হন বাসা থেকে। বাড়ির পাশে গিয়ে বাজারে বসে ছিলেন তিনি। হঠাৎ পঞ্চগড়গামী কাঞ্চন ট্রেনে গিয়ে লাইনে মাথা পেতে দেন তিনি। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। পরে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দিলে জিআরপি থেকে পুলিশ গিয়ে তাঁর বিচ্ছিন্ন মরদেহ উদ্ধার করে।
মিন্টুর চাচা শহীদুল ইসলাম জানান, ভালোই ছিলেন মিন্টু। হঠাৎ মানসিক সমস্যা দেখা দেয় তাঁর। কয়েক দিন আগে বাড়ির পাশে গাছে গলায় ফাঁস দিতে গিয়েছিলেন মিন্টু। কিন্তু লোকজন দেখে ফেলায় সে যাত্রায় বেঁচে যান তিনি। পেশায় ভ্যান চালক মিন্টু এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের জনক।
দিনাজপুর রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক আবু শাহাদাৎ জানান, তিনি মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলেন। আজ সকাল পৌনে ১১টার দিকে পঞ্চগড়গামী কাঞ্চন এক্সপ্রেসে কাটা পড়েন তিনি। সেতাবগঞ্জ স্টেশনের পাশে মোল্লাপাড়ায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে দিনাজপুর সদরের কাউগাঁ এলাকায় রেললাইনের পাশ থেকে অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে রেলওয়ে (জিআরপি) থানা-পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে রেল লাইনের পাশে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখতে পান স্থানীয়রা। প্রায় ২৫ বছর বয়সী ভবঘুরে ওই যুবক কয়েক দিন ধরে এলাকায় মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় ঘোরাফেরা করছিলেন বলে জানিয়েছেন তারা।
জিআরপি পুলিশের অফিসার্স ইনচার্জ এরশাদুল হক ভূঁইয়া জানান, সম্ভবত রেল লাইনের হাঁটার সময় পার্বতীপুর থেকে পঞ্চগড়গামী কাঞ্চন ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে প্রাণ গেছে ওই যুবকের। তাঁর ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ উদ্ধার করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।