বৈশাখ মানেই পান্তা-ইলিশ। তাই প্রতি বছর বৈশাখকে সামনে রেখে বেড়ে যায় ইলিশের দাম। তবে এর ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌর শহরে। ব্যবসায়ীরা কম দামে মাইকিং করে বিক্রি করছেন ইলিশ। মাছ কিনতে বাজারে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়।
আজ বুধবার সকাল থেকে ফুলবাড়ী পৌর শহরের মাছ বাজারে এ চিত্র দেখা গেছে।
পৌর শহরের মাছ বাজারে অন্য দিনের তুলনায় আজ ইলিশ বিক্রি বেশি হয়েছে। ইলিশের আমদানি বেশি ও দাম কম হওয়ায় ইলিশ কিনতে স্থানীয়দের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ক্রেতারা কে আগে কে পরে কিনেবেন তা নিয়ে বাজারে পড়েছে শোর-গোল।
সিদ্দিক, মোজাফ্ফর ও শাবানা বেগম জানান, এত দিন ইলিশের দাম বেশি ছিল। তাই কিনতে পারেননি তাঁরা। মাইকিং শুনে তাঁরা বাজারে এসেছেন। ৩০০ টাকা কেজি দরে ২৫০-৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কিনেছেন।
মৎস্য ব্যবসায়ী খট্টু ও মালেক জানান, মাছের আমদানি বেশি। কেনার লোক কম। তাই মাইকিং করে বিক্রি করছেন তাঁরা। অপরদিকে এক কেজি বা তার একটু বেশি ওজনের ইলিশ ১২০০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। মাছ বিক্রেতার কাছে দাম বেশির কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন, এগুলো বড় এবং ভালো মানের মাছ। এ মাছের স্বাদ বেশি, যার কারণে দামও বেশি।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোছা. রাশেদা আক্তার বলেন, পয়লা এপ্রিল থেকে ৭ এপ্রিল জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ। মৎস্য সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী প্রতি বছর ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত আট মাস জাটকা ইলিশ ধরা, পরিবহন, মজুত, বেচা-কেনা ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকে। মা ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলে এবং বঙ্গোপসাগরে মৎস্য সম্পদ আহরণে নিষেধাজ্ঞার কারণে ইলিশের উৎপাদন অনেক বেড়েছে।