হাইকোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। আজ বুধবার দুপুরে আদালতে হাজির হলে বিচারক জুলফিকার উল্ল্যাহ তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে পৌনে ১টার দিকে পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় প্রিজন ভ্যানে করে তাকে আদালত থেকে কারাগারে নেওয়া হয়।
এদিকে মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমের আত্মসমর্পণকে কেন্দ্র করে নাশকতার আশঙ্কায় জেলা আদালত চত্বরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এ সময় আদালত চত্বর এলাকায় বিএনপির নেতা কর্মীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মামলা ও বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমকে নিয়ে ইউটিউবে মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমের দেওয়া বক্তব্যে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে হাইকোর্টে একটি আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের চার আইনজীবী। সেই আবেদনে গত ১৭ আগস্ট আপিল বিভাগ মেয়রের প্রতি আদালত অবমাননার নোটিশ ইস্যু করেন। পাশাপাশি ২৪ আগস্ট তাঁকে আদালতে হাজির থাকার আদেশ দেন।
নির্ধারিত দিনে মেয়র আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করলে আপিল বিভাগ ১২ অক্টোবর শুনানির দিন ধার্য করেন। পরে আদালত মেয়র জাহাঙ্গীরকে এক মাসের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও সাত দিনের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে আদালত পরবর্তী সাত দিনের মধ্যে জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
গতকাল মঙ্গলবার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম জরিমানার নগদ এক লাখ টাকা দিনাজপুর গাউসুল আজম বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালে জমা দেন। আজ (বুধবার) শহরের জেল মোড় এলাকায় দলীয় কার্যালয় থেকে নেতা কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজির হন। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হলে বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।