ঠাকুরগাঁওয়ে নিখোঁজের তিন দিন পর পুকুর থেকে আব্দুল্লাহ পুষ্প (৬) নামের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলার সালান্দর ইউনিয়নের কচুবাড়ী কৃষ্টপুর এলাকার একটি পুকুর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় শিশুর বাবা মাসুদ রানা ও মাসুদের সাবেক স্ত্রী (শিশুটির মা) মোছা. রুনা বেগম পরস্পরকে দায়ী করছেন।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী জানান, গত রোববার সকালে বাসা থেকে নিখোঁজ হয় শিশু আব্দুল্লাহ পুষ্প। পরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা মাসুদ রানা ঠাকুরগাঁও থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে আজ মঙ্গলবার সকালে বাড়ির অদূরে পুকুরে ভেসে ওঠে পুষ্পর লাশ। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
স্থানীয় সালান্দর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ফজলে এলাহী মুকুট চৌধুরী বলেন, শিশুটির বাবা মাসুদ রানা ও মা রুনা বেগমের মধ্যে কিছুদিন আগে বিচ্ছেদ হয়। গত শনিবার শিশুটির বাবা তার নানাবাড়ি থেকে তাকে নিজ বাড়ি নিয়ে আসেন। এর পরদিন রোববার সকালে শিশুটি নিখোঁজ হয়। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করছে এলাকাবাসীও।
শিশুর বাবা মাসুদ রানা বলেন, ‘নিখোঁজ হওয়ার পর থানায় জিডি করি। আমার শিশু বাচ্চাকে কে বা কারা হত্যা করল, তা বুঝতে পারছি না। আমার ওইটুকু শিশুকে যারা হত্যা করেছে, তাদের বিচার চাই।’
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, শিশুটির বাবা-মা এর জন্য পরস্পরকে দায়ী করছেন। শিশুটির মৃত্যু রহস্যজনক হওয়ায় ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।