দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিনাজপুর-৪ (খানসামা ও চিরিরবন্দর) সংসদীয় আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীকে ভোট দিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মুখে পড়েছেন বিএনপি নেতা এটিএম সুজাউদ্দীন লুহিন শাহ্।
এটিএম সুজাউদ্দীন খানসামা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যান, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এবং উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক।
তাঁর উপজেলার মারগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটদান শেষে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের দেওয়া সাক্ষাৎকারের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
বিষয়টি নিয়ে আজ সোমবার (৮ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগ, বিএনপির নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগণের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
এই নেতার ভোট দেওয়া ছবি ও ভিডিও পোস্ট করে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব রুবেল ইসলাম ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেন, ‘নির্বাচন না আসলে দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা বেঈমানগুলারে চেনা যেত না। এখনি সময় দল থেকে এসব আগাছা ছাঁটাই করে ফেলার। আজীবনের জন্য বহিষ্কার করতে হবে এসব শাহাজাহান ওমরদের।’
ফেসবুক পোস্টে রুবেল ইসলাম আরও লিখেন, ‘যদিও পূর্বে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছিল, পরবর্তীতে আবার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হয়েছিল। কিন্তু তারপরও উনি শোধরায়নি। ছাত্রদলের একজন কর্মী হিসেবে আমার ভাবতেই অবাক লাগতেছে উনি এক সময় ছাত্রদলের প্রতিনিধিত্ব করছেন।’
উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল আলম তুহিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দলের দুর্দিনে যারা দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে তাঁরা হল সুবিধাবাদী। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’