নীলফামারী-সৈয়দপুরে আঞ্চলিক সড়কে ট্রাক্টর ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে তারেক রহমান (৩৫) নামে এক ইপিজেড শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন তাঁর স্ত্রী মাহমুদা আক্তার। আজ বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ৭টার দিকে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে ওই সড়কের শিমুলতলী নামক স্থানে এ দুর্ঘটনার শিকার হন এই দম্পতি।
তারেক রহমান সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী নতুনহাট ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের জমিল উদ্দিনের ছেলে। তিনি উত্তরা ইপিজেডের সনিক প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। তাঁর স্ত্রী মাহমুদা আক্তারও একই কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। গুরুতর আহত মাহমুদা নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, ঘন কুয়াশার মধ্যে ইপিজেড শ্রমিক দম্পতি মোটরসাইকেলযোগে নিজ বাড়ি থেকে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কম থাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাক্টরের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলের চালক তারেক নিহত হন এবং তাঁর স্ত্রী মাহমুদা আহত হন। পরে স্থানীয়রা মাহমুদাকে উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।
উত্তরা ইপিজেড ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শহীদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সকালে প্রচুর ঘন কুয়াশা ছিল। এ কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল থেকে তারেক রহমান নামের একজনের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নীলফামারী সদর থানার পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউপ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিহত শ্রমিকের মরদেহ থানায় নেওয়া হয়েছে। এরপর আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ঘটনার পর ট্রাক্টর নিয়ে চালক পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।’