কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে শীত ও ঘন কুয়াশার দাপটে বিপর্যস্ত জনজীবন। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত বৃষ্টির মতো পড়ছে ঘন কুয়াশা। ফলে দুর্ভোগে পড়েছে এখানকার শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষ। এদিকে ঘনকুয়াশা উপেক্ষা করে দিনের বেলাতেও হেড লাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলতে দেখা গেছে।
আজ সোমবার সকালে কুড়িগ্রামের কৃষি আবহাওয়া কার্যালয় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত দুদিন থেকে উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় জবুথবু হয়ে পড়েছে গোটা জনপদ। কনকনে ঠান্ডায় শীতবস্ত্রের অভাবে শীত কষ্টে পড়েছে নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের মানুষগুলো।
উপজেলার শিমুলবাড়ি নৌকা ঘাটের মাঝি ছবির উদ্দিন বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল থেকে নৌকা চালানো মুসকিল হয়ে পড়েছে। পথ চেনা যাচ্ছে না। এক ঘণ্টার পথ তিন ঘণ্টা লাগছে। দিন ও রাতের অবস্থা এক।
সড়ক পথে তো কুয়াশা হলেও গাড়ি চালানো যায়। নৌ পথে নৌকা চালানো যাচ্ছে না। খুব একটা সমস্যায় পড়েছি।
ফুলবাড়ী সদরের মরানদী এলাকার তাজুল ইসলাম বলেন, রাত থেকে এত পরিমাণে কুয়াশা পড়ছে যা গত ২-৩ বছরে পড়েনি। রাতে বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়েছে।
ওই ইউনিয়নের চরজোতইনদ্রনারায়নের আইদুল ইসলাম বলেন, দুই দিন থেকে খুব ঠান্ডা ও কুয়াশা। ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে খুব চিন্তায় আছি। আমাদের চরে তো সব সময় বাতাস থাকে। তাই খুব ঠান্ডা। বাড়ি থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। গতকাল সারা দিন কুয়াশায় ঢাকা ছিল পুরো এলাকা। আজ কুয়াশা আরও বেশি।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আজ সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখন থেকে তাপমাত্রা কমতে থাকবে। তবে আগামী ২০ তারিখের পরে এ অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে।