আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘রংপুর একসময় মঙ্গা অঞ্চল ছিল। শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব তিনি মঙ্গাকে জাদুঘরে পাঠিয়েছেন। উন্নয়ন তো এখানেই। রংপুরের চরাঞ্চল দিয়ে বিদ্যুৎ চলে গেছে। শতভাগ বিদ্যুৎ এখন রংপুরে আছে। রেল চলে গেছে পঞ্চগড় পর্যন্ত। কী নেই রংপুরে, সবকিছু আছে। ’
আজ মঙ্গলবার রংপুর জিলা স্কুল মাঠে আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগীয় মহাসমাবেশস্থল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এখন বাংলাদেশ রূপান্তরের রূপকার। তিনি রংপুরেরও রূপান্তরের রূপকার। তাঁর যে রূপান্তরের গল্প, গোটা বাংলাদেশেরটা তিনি যেমন বলবেন, তেমনি তাঁর রূপান্তরের গল্প রংপুরকে ঘিরে বর্তমান, ভবিষ্যৎ সব পরিকল্পনার কথাই তিনি বলবেন। ১৫ বছর আগের রংপুর, ১৫ বছর পরে আজকের রংপুরের আকাশ-পাতাল পার্থক্য। রংপুরের রূপান্তর চোখে দেখার মতো।’
উন্নয়নের ধারাবাহিকতা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রংপুরে এখন ছয় লেনের রাস্তা হচ্ছে। সারা রংপুরে যেদিকে যান, আপনি দেখবেন সড়কপথে উন্নয়ন আমূল পরিবর্তন হয়েছে। সৈয়দপুরে ১৮টি বিমান দৈনিক ওঠানামা করে। কেন? লোকগুলো কি বেকার এখানের প্রকৃতি দেখে ফিরে যায়। এরা কাজে আসে। পঞ্চগড় পর্যন্ত কাজ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রংপুরকে ঘিরে আঞ্চলিক উন্নয়নের একটা পরিকল্পনা আছে। ব্যবসা-বাণিজ্য এসব ব্যাপারে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে তিনি এগোচ্ছেন।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে যে উন্নয়ন হয়েছে। যত বিষোদ্গার-প্রোপাগান্ডা করুক, আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা ও ষড়যন্ত্র করুক, ভোট শান্তিপূর্ণ হলে রংপুরসহ দেশের ৭০ ভাগ মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভোট দেওয়ার অপেক্ষায় আছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন ক্যাম্পিং শুরু হয়ে গেছে। রংপুর উত্তরবঙ্গ এখান থেকেই আমাদের নির্বাচনী গুরুত্বপূর্ণ সমাবেশ আগামীকাল। উত্তরবঙ্গকে ঘিরে আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার যে স্বপ্ন, স্বপ্নের সে গল্প আগামীকাল জনগণকে সাজিয়ে বলবেন তিনি।’
সমাবেশস্থল পরিদর্শনের সময় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দিসহ স্থানীয় নেতারা।