ঠাকুরগাঁওয়ে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক স্কুলশিক্ষককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ রোববার সকালে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে আদালতে হাজির করার সময় পুলিশ হেফাজতেই মানিককে মারধর করে বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ছাত্র-জনতার ব্যানারে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়ে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে আরও কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। পরে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ করেন। পরে বিক্ষোভকারীদের শান্ত করতে জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা তাঁদের আশ্বস্ত করে বলেন, কোনোভাবেই যেন অপরাধী আইনের ফাঁক গলে বের হতে না পারে, তা নিশ্চিত করা হবে। দোষ প্রমাণিত হলে অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও শিক্ষক মোজাম্মেল হক মানিক শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়াচ্ছিলেন। প্রতিদিনের মতো সেদিনও ভুক্তভোগী ছাত্রী প্রাইভেট পড়তে যায়। এ সময় মানিক তাকে একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান। পরে শিশুটির চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে শিক্ষক মানিকের লোকজন তাকে উদ্ধার করে জেলা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর শিশুটির স্বজনেরা খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে গতকাল রাতে সদর উপজেলার ভুল্লী থানায় শিক্ষক মোজাম্মেল হক মানিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন।