গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কদমতলী নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি শাহীন মিয়ার (৪০) বিরুদ্ধে এক শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে এক জরুরি সভা হয়। সভায় শাহীন মিয়াকে কারণ দর্শানো ও সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এর আগে গতকাল বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত শাহীন মিয়া উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক। তাঁর বাড়ি ওই ইউনিয়নের আকবর নগর গ্রামে।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম মণ্ডল জানান, বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে টিফিনের সময় ওই ছাত্রীকে ক্লাসরুমে একা ছিল। এ সময় বিদ্যালয়ের দপ্তরি শাহীন ক্লাসরুমে মেয়েটির স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। তাৎক্ষণিক মেয়েটি শিক্ষকদের কিছু না জানিয়ে বাড়িতে গিয়ে তার মাকে বিষয়টি জানায়। পরে মেয়েটির মাসহ স্বজনেরা বিদ্যালয়ে এসে শাহীনের বিচার দাবি করেন। এ সময় এলাকাবাসী-অন্যান্য অভিভাবকেরাও বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন। শাহীনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে তাঁরা শান্ত হন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহাতাব হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকদের সঙ্গে সভায় অভিযুক্ত দপ্তরিকে কারণ দর্শানো ও বরখাস্ত করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া আগামী রোববার ওই বিদ্যালয় পরিদর্শনে যাব।